পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্যাচ খেলার পর। ১১

. * মন্ত্রমুগ্ধের মত হইয়া গেল। প্রার্থনা শেষ হইলে টম তখনও হাঁ করিয়া আচার্যের অপসরস্ত মূৰ্ত্তির দিকে চাহিয়া আছে এমন সময় তাহার জামার আস্তিন ধরিয়া কে টানিল, ফিরিয়া দেখিল ইষ্ট। “বলি, তুমি কখনও কম্বলে লােফানি খেয়েছ? “না, কেন বল ত” ? টম জিজ্ঞাসা করিল। ইষ্ট বলিল “আজ কিনা লােফানি হবে, অর্থাৎ খুব সম্ভব ষষ্ঠেরা শুতে আসবার আগে। তাই বলছি যদি ভয় খাও তা হলে এস, এই বেলা গা ঢাকা দাও, না হলে তােমাকে এসে ধরে লােফানি দিবে।” : টম শুধাইল “তুমি কখন লােফানি খেয়ে ছ; লাগে নাকি”? ইষ্ট বললে “আঃ তা আর খাইনি, কি এক কথা, এমন দশবার হবে খেয়েছি”। এই বলে টমের পাশে পাশে খোড়াইয়া খোঁড়াইয়া সিড়ি দিয়া উপর তলায় উঠিতে লাগিল, বলিল “যদি মেয়ে না পড়ে যাও তা হলে লাগে না, কিন্তু অনেকেই পছন্দ করে না। উপরে দর-দালানের অগ্নিস্থলীর কাছে তাহারা আসিয়া দাঁড়াইল, সেখানে এক দল ছােট ছােকরা মিলিয়া কি ফিস্ ফিস করিতেছিল, বুঝা গেল শুইবার ঘরে যাইতে তাহারা নারাজ। মিনিট খানেকের মধ্যেই একটা পড়ার ঘরের দরজা খুলিয়া একজন যষ্ঠ ফৰ্ম্মার ছাত্র বহিরিয়া আসিল, আর অমনই তাহারা সিড়ি ভাঙ্গিয়া চম্পট দিয়া যে যাহার শয়ন ঘরে নিঃশব্দ সরিয়া পড়িল। যখন ইষ্ট আর টম তাহাদের ঘরে আসিয়া পৌছিল তখন টমের বুক দুর জর করিতেছে। কিন্তু সে মনস্থির করিয়া ফেলিয়াছে, বলিল “আমি লুকাৰ নাই”? ইষ্ট স্পষ্টতই খুসি হইয়া খুলিশ বেশ ভাই আস্তিও না; তারা এই আমাদের জন্যে এল বলে”। ঘরটা মস্ত বড়, উহাতে বারটা বিছানা পাতা।কিন্তু ট ইষ্ট ১১