পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় ঘােড়া হালকায় বসে যেখানে আসিয়া আমরা সুখী হই এমন নূতন জায়গায় প্রথম দিন অতিমাত্ৰ উৎসাহ ও পরিশ্রমে কাটাইয়া রাত্রে সুনিদ্রার অন্তে যখন চেতনার সঞ্চার হইতে থাকে তখন সেই যে অন্ধ-সুপ্ত অর্ধ-জাগ্রত স্বপ্নাবেশময় মধুর অবস্থা তাহা বােধ হয় সকলেরই সুপরিজ্ঞাত, বাস্তবিক জীবনে ইহার চেয়ে অধিক মনাের অংশ খুর অল্পই আছে। ক্ষোভের বিষয় এই যে ইহা অতিমাত্ৰ ক্ষণস্থায়ী, কেননা যতই তােয়াজ করিয়া রাখিতে চেষ্টা কর না, তুমি ইহা পাঁচ মিনিটের অধিককাল কিছুতেই ধরিয়া রাখিতে পারিবে না। তাহার পর সেই আহাম্মক গায়ে-পড়া সজাগ ‘আমি’ বলে পদার্থ টা, যেমনই অস্থির তেমনই একজেদী, আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা স্বত্বেও মনের মধ্যে ফের ঠেলিয়া ঢুকিয়া পড়িবে, আর মাথার চুল হইতে পায়ের নখ পর্যন্ত আমাদের পুরাপুরি দখল করিয়া বসিৰে। মান টম তাহার আসিবার পর দিন সকাল ৭ টার সময় ঠিক এমনই অবস্থায় শায়িত হইয়া তাহার সেই পরিস্কৃত শুত্র বিছানাটি হইতে ‘বগল’এর (স্কুলবাড়ীর জুতাবুরুষেরা পূৰ্ব্বাপর, এই জাতিগত নামেই অভিহিত হইত) গতিবিধি, অর্থাৎ সে কেমন করিয়া খাটে খাটে ঘুরিয়া ময়লা জুতা সংগ্রহ করিয়া পরিস্কৃত জুতা রাখিতেছিল তাহাই পৰ্যবেক্ষণ করিতেছিল। • | সেইভাবে শুইয়া সে ঈষৎ সন্দিহানভাবে ভাবিতেছিল যে বিশ্বের ঠিক কোন জায়গায় সে রহিয়াছে, কিন্তু মনে এ প্রত্যয়টা আছে যে L ..'