পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। জীবনে সে এমন এক পদত্যাস করিয়াছে যাহার জন্য সে বরাবরই সমুৎসুক ছিল। তখন কেবল মাত্র ফরসা হইতেছে আর সে চওড়া জানালার ভিতর দিয়া অলসভাবে তাকাইয়া দেখিতে পাইল বৃহৎ এলম বৃক্ষের মাথার উপরে কাক গুলা চক্রাকারে উড়িতে উড়িতে তাহাদের সমাজের অলস ব্যক্তিগুলিকে কা-কা শব্দে অনুযােগ করিতেছে, এখনই তাহারা দলবদ্ধ হইয়া নিকটস্থ চষা ক্ষেতে চরিতে যাইবে। জুতার সাজি বগলে করিয়া বগল যখন তাহার পিছনে দুয়ার ভেজাইয়া চলিয়া গেল, তখন সেই শব্দে টমের সম্পূর্ণ চেতনা হইল এবং সে বিছানার উপর উঠিয়া বসিয়া চারিদিকে তাকাইয়া দেখিতে লাগিল। ভালরেভাল তার কাঁধে এবং কোমরে হইয়াছে কি ? তাহার মনে হইল যে কে যেন সারা পিঠময় তাহাকে ঠেঙ্গাইয়াছে। ইহা তাহার প্রথম ম্যাচ খেলার কৃতিত্বের পরিণাম। সে হাঁটু গােটো করিয়া তাহার উপর চিবুক রাখিয়া গতদিনের ঘটনাবলি সমস্ত পৰ্যালােচনা করিয়া তাহার এই নূতন জীবনে, সে ইতিমধ্যে ইহার যতটুকু দেখিয়াছে, এবং পরে যাহা আসিবে বলিয়া বিশ্বাস করে সেই সম্বন্ধে, আনন্দ অনুভব করিতে লাগিল। অবিলম্বেই আরও দু একজন ছােক জাগিয়া উঠিল এবং বিছানার উপরে উঠিয়া বসিয়া নীচু গলায় পরস্পরের সহিত কথাবার্তা বলিতে লাগিল। তাপর ইষ্টও দু একটা গড়ান দিয়া নঙ্গর গাড়িল, এবং টমের দিকে ঘাড় নাড়িয়া নিজের পায়ের গাইট পরীক্ষা করিতে লাগিল। বলিল “কি বালাই। তবে কি বিছানায় পড়ে থাকতে হবে না কি? আমি যে একবারে গাছ-খোড়া হয়ে গেছি দেখছি।” | অদ্য রবিবার সকাল বেলা এখনও রবিবারের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয় নাই, সুতরাং প্রাতঃরাশ ছাড়া বিছানা থেকে উঠিয়া এগারটার