পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘােড়া হালকায় বসে। ১৬৯ মধ্যে আর কিছুই করিবার নাই। এই ফাকটা পূরণ করা মােটেই সহজ ছিল না। প্রকৃত পক্ষে ইহার অনতিবিলম্বে অনুষ্ঠিত রবিবারের প্রথম বক্তৃতা যথারীতি অনুযােগের সহিত গৃহীত হইলেও পরিণামে উহা বিশেষ কল্যাণেরই কারণ হইয়াছিল। এখন কেবল বিছানায় শুইয়া থাকা, উঠিবার কোন তাড়া নাই। বিশেষ যে ঘরে (যেমন টমের) ষষ্ঠ ফর্মার ছােকরা খােস-মেজাজী লােক হইত সেখানে ছােট ছেলেরা হাসিখুসি কথাবার্তা যা ইচ্ছা তাই করিত, কেবল উহাকে বিরক্ত না করিলেই হইল। তাহার বিছানা অন্য সকলের চেয়ে কিছু বড়, অগ্নিস্থলীর কাছে এককোণে আলাদা করিয়া পাতা, খাটের কাছে একটা ছিলিমচি দান, তার উপরে একটা বড় ছিলিমচি। সেইখানে তিনি রাজগৌরবে শয়ান, তাহার সাদা পর্দাগুলি এমন ভাবে বিছানায় গোঁজা যে বেশ একটু নিভৃত অন্তরালের মত হইয়াছে। টম তাহার ঠিক বিপরীত ধারেই শুইয়াছিল এবং যাবৎ মহাপুরুষ জাগিয়া উঠিয়া বালিশের তলা থেকে একখানা বই লইয়া ঘরের দিকে পিঠ ফিরিয়া পড়িতে আরম্ভ করিলেন তাবৎ টম সভা সম্ভপূর্ণ দৃষ্টিতে তাহাকে নিরীক্ষণ করিতেছিল। কিন্তু শীঘ্রই দুইজন ছােট ছেলের মাঝামারির শব্দ উঠিল এবং সেই সঙ্গে সন্নিহিত বালকদিগের মধ্যে চাপা গলায় নানারূপ উৎসাহবাক্য চলিতে লাগিল, যথা “লাগা ট্যাডপােল, “এইবার গ্রীন”, “ওর কম্বল টেনে নে,” “লাগা চটি ওর হাতে” ইত্যাদি। অল্পবয়স্ক গ্রীন, এবং ক্ষুদ্রকায় হল (শেষােক্ত বালক মস্ত বড় মাথা এবং সরু পায়ের জন্য সাধারণতঃ ট্যাডপােল বা বেঙ্গাচি নামে পরিচিত ছিল), ইহারা দুইজন দুয়ারের ধরে পাশাপাশি শুইত, এবং সব সময়েই পরস্পরের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করিত এবং উহা অবশেষে তুমুল হাতাহাতিতে পরিণত হইত। আজ সকালেও ঘটিয়াছে তাহাই। T । ।