পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L ১৯৪ ' । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। তাহা না হইলে সে এতক্ষণ সমস্ত টাকা খােয়াইয়া পাগল হইয়া যাইত। | “টমাস শিগগীর নাও, ডানচার্জের হাই ফ্লায়ার আমরা নিশ্চয় ধরতে পারব না”। “আচ্ছা এই নাও গ্রীন তােমার টাকা। “বাঃ টমাস, আচাৰ্য্য যে বললেন আমি দু পাউণ্ড দশ শিলিং পাব, আর তুমি যে আমাকে মােটে দু পাউণ্ড দিয়েছ”—আমার আশঙ্কা হইতেছে মাষ্টার গ্রীন খাঁটি সত্যের উপর যাইতেছেন না। টমাস তাহার ঘাড় আরও এককেতে করিয়া তাহার ময়লা লিষ্টিটি খুটিয়া খুটিয়া পড়িতে লাগিল, ফলে গ্রীন জানালা হইতে অপসারিত হইল। বলি “ওঃ টমাস, ওর কথা রেখে দাও, আমার ত্রিশ শিলিং দাও”। “আর আমার ও” বলিয়া আরও কয়েক জন চীৎকার করিয়া উঠিল।। যেমন করিয়া হােক টমের দল অবশেষে নিজ নিজ টাকা পাইয়া বিদায় হইয়া ফটকের দিকে ধাওয়া করিল। কর্ণোপিয়ান বাদক তখন উন্মত্তের স্যায় “মদের ফোটা বাজাইতেছে। বােধ হয় উহাতে বাদক ও গাড়ী চালক ইতিমধ্যে যৎকিঞ্চিং যাহা টানিয়াছে তাহারই ইঙ্গিত ছিল। সমস্ত মাল-পত্র গাড়ীর মধ্যে ও সামনের ও পিছনের দেরাজে যঙ্গের সহিত গুছাইয়া রাখা হইল। এমন কি হাটবাক্সটা পৰ্য্যন্ত উপরে দেখা * গেল না, পাঁচ ছজন ছােট ছেলে মটর-নালিক ও কর্ণোপিয়ান বাদককে লইয়া গাড়ীর পিছনে উঠিল, সামনের দিকে আঁড় ছােকরারা প্রায় সকলেই চুরুট খাইতেছে; আরামের জন্য নয় কিন্তু তাহারা যে এখন স্বাধীন ভলােক এইভাবে, এবং সে কথা প্রকাশ্যে জ্ঞাপন করিবার ইই নাকি শিষ্ট রীতি বলিয়া। “বিনসনের গাড়ী মিনিট খানেকের মধ্যেই এসে পড়বে, বার্ডের