পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। 1 ঘােত হালকা বসে । ১৯৫ ওখারে সােয়ারী তুলে নিতে গিয়েছে, আমরা ততক্ষণ অপেক্ষা করি, যাই তারা কাছাকাছি আসবে অমনই পাল্লা লাগাব”। দলের সর্দার এই অভিমত ব্যক্ত করিল, তারপর গাড়ােয়ানদের দিকে তাকাইয়া বলিল “ওহে ছােকরারা যদি ডানচার্চের মধ্যে ওদের একশ গজ আগে জিততে পার তাহলে তােমরা প্রত্যেকে আধগিনি করে বখশীষ পাবে”। মিনিটখানেক দুয়ের মধ্যেই রবিনসনের গাড়ী আর একজন প্রতিদ্বন্দী কর্ণোপিয়ান বাদককে লইয়া আসিয়া পড়িল। তখন দুখানা গাড়ী একসঙ্গে বেগে বাহির হইয়া গেল। মােড়া দড়বড় করিতেছে, গাড়ােয়ানেরা হাঁকার পড়িতেছে, শিঙ্গা জোরে ফুকরাইতেছে ; সে এক তুমুল ব্যাপার। স্কুলের ছেলে ও নাবিকদের উপর বিধাতার বিশেষ করুণা আছে, তা না হলে এই পাঁচ মাইলের মধ্যে অমন বিশবার গাড়ী উল্টাইবার কথা। কখন কখন গাড়ী দুখানা ঠিক রুজু রুজু চলিতেছে, গাড়ীর ছাত থেকে ছেলেরা পরস্পরের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে মটর বৃষ্টি করিতেছে ; এই প্রায় একখানা বগীর উপর পড়পড় হইয়াছিল আর কি ; এই একটা বাঁধের উপর অর্ধেক দূর ঠেলিয়া উঠিল; এইবার দেড়খানা চাকাশুদ্ধ একটা খানার মধ্যে পড়ে আর কি তার উপর এই অন্ধকার ভাের-মাথায় তাহাদের নিজ নিজ লণ্ঠন ছাড়া পথ দেখিবার অন্য আলাে নাই। যাহা হউক অবশেষে এযাত্রা একরূপ নিৰ্বিয়ে কাটিল। সাউথহাম স্ট্রীটে একটা বুড়া শুয়ার ছাড়া আর কোথাও কিছু কাটা পড়ে নাই ; অক্সফোর্ডের কর্ণমার্কেটে মটরগুলি নিঃশেষ করিয়া বেলা এগারটা বারটার মধ্যে তাহার ঠিকানায় আসিয়া পৌঁছিল এবং এঞ্জেল হােটেলে এক সরােহর প্রাতঃরাশে বসিয়া গেল এবং দক্ষিণাও অবশ্য তদনুরূপ দিতে হইল। এইখানে আসিয়া দল ভাঙ্গিয়া যে যার ভিন্ন পথে চলিল। টম একখানা জুড়ি গাড়ী ফরমায়েশ করিয়া লাট