পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। স্বাধীনতার সমর ২০৩ সমস্ত ক্লাসের মধ্য দিয়া একটা হৃৎকম্প ছুটিয়া গেল এবং আচাৰ্য্য উচ্ছসিত রােষে তিন পা আগাইয়া ব্যাখ্যাকারীর মাথায় সজোরে এক থাপ্পড় কষাইলেন। আঘাত যে তেমন গুরুতর হইয়াছিল তা নয়, কিন্তু বালক এতদুর অপ্রস্তুত হইল যে সে চমকিয়া পিছু হটিয়া গেল এবং যাইতে হাঁটুর পশ্চাদ্ভাগ বেঞ্চিতে লাগিয়া সে একেবারে উল্টাইয়া। হুড়মুড় করিয়া মেঝের উপর পড়িয়া গেল। সমস্ত স্কুলঘর নির্বাক নিষ্পন্দ। ইহার পূর্বে অথবা পরে যতদিন টম স্কুলেছিল আচাৰ্য্য আর পড়ার সময় কখনও কোন ছেলের গায়ে হাত তুলেন নাই। এক্ষেত্রে ক্রোধের কারণ অতি গুরুতরই হইয়া থাকিবে। যাহা হউক এই নিগৃহীত বালক সে যাত্রা তাহার সমস্ত ক্লাসকে উদ্ধার করিয়াছিল, কারণ অতঃপর আচৰ্য্য উপরের বেঞ্চির দিকে ফিরিয়া ঘণ্টার অবশিষ্ট কাল ভাল ভাল ছেলেদেরই পরীক্ষা লইলেন। যদিও পড়ার অন্তে ক্লাসের সকলকে এমন ভৎসনা করিয়াছিলেন যে তাহারা অনেক দিন সে কথা ভুলে নাই, তথাপি এই ভীষণ পরীক্ষার দিন শাস্তি অথবা বেত্রাঘাত স্বরূপ গুরুতর উপদ্ৰৰ ব্যতিরেকেই, অতিক্রান্ত হইয়াছিল। চল্লিশ জন লক্ষ্মীছাড়া ছেলে দ্বিতীয় পাঠের পূর্বে এই “বিষন্ন নেকড়ে বাঘের” কাছে বিভিন্নভাবে তাহাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিয়াছিল। কিন্তু শিষ্টতার সুনাম একবার চলিয়া গেলে আর সহজে পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায় না তা টম দেখিতে পাইল, এবং ইহার পর অনেক বৎসর ধরিয়া এই সুনামের অভাব লইয়া মাষ্টার মহাশয়দিগের হস্ত তাহার বিরুদ্ধে উদ্যত এবং তাহার হস্ত মাষ্টার মহাশয়দিগের বিরুদ্ধে উদ্যত এইভাবে তাহাকে স্কুলের মধ্যে অগ্রসর হইতে হইয়াছিল। সেও অবশ্য অতঃপর তাহাদিগকে সহজ শত্রু বলিয়া মনে করিতে লাগিল। পূর্বের মত বাড়ীর মধ্যেও তেমন স্বচ্ছন্দ অবস্থা ছিল না, কারণ বড় । এ