পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ ইম আউনের স্কুলজীবন। আদর্শ আছে, উহা নির্বিবাদে কেহ লঘন করিতে পারে না—ইহার মারাই কোন জিনিষটি ফ্ল্য অথবা, হেয় এবং কোনটিই বা সাধু এবং স্যায় ভুগত তা নির্ণীত হয়। এই আদর্শ নিয়ত পরিবর্তনশীল, কিন্তু ইহার পরিবর্তন ধীরে ধীরে হয়, এবং অল্পে অয়ে। মাত্র এই আদর্শের বশ্যতা স্বীকার করিয়া তৎকালীন প্রধান ছাল্লোই স্কুলের সুর বাঁধিয়া দেয়, এব° হয় স্কুলটিকে খৃষ্টধর্মাবলম্বী ইরাজের শিক্ষাদীক্ষার একটি। মহা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে, আর না হয় ছােট ছেলেদের পক্ষে লণ্ডনের রাস্তা অপেক্ষাও কলুষিত করিয়া তুলে, অথবা এই দুইয়ের মাঝামাঝি অল্লাধিক অপকৃষ্ট স্থানে পরিণত করে। যাহা হউক সুলবাড়ীর এই খারাপ দিকে পরিবর্তন আমাদের আখ্যায়িকার ছোট ছেলেদের গায়ে তেমন বেশী লাগে নাই। তাহাদের শয়ন ঘরটি ভাল ছিল, যে একমাত্র প্রিপােষ্টান সম্পূর্ণরূপে সুশাসন রক্ষা করিতে সক্ষম ছিলেন তিনি এই ঘরে শুইতেন, এবং তাদের পড়ার ঘর তাঁহারই দরদালানে ছিল, সুতরাং যদিও তাহাদের অল্প বিস্তয় খাটানি খাটিতে হইত এবং জুলুমিয়াদের হাতে মাঝে মাঝে কিলটা লাথিটা খাইত, তা হলেও মোটের উপর তাদের অবস্থা মন ছিল না, আর সেই তরুণ উৎসাহপূর্ণ ফুল-জীবন,-নানারূপ ক্রীড়া, দুঃসাহসিকতা এবং সখ্যভাবে এমন পরিপূর্ণ, বিস্মৃতিতে এত প্রবণ, সম্ভোগে এত উদার ভবিষ্য কল্পনায় এত প্রােজ্জ্বল, তাহাদের ক্লাসের শিক্ষকের সহিত গেলযােগ এবং বাড়ীতে বড় ছােরাদের হাতে নিগ্রহকে শত সহস্রগুণে অতিতুলিত করিয়াছিল। পূর্ববর্ণিত ঘটনার বৎসর খানেক পরে তাহাদের ঘর এবং দরদালানের প্রিপােষ্টার স্থল ত্যাগ করিয়া গেলেন। যষ্ঠ ফর্মার আর কোন ছাত্র সে দমনে আর আসিতে না চাহায় একদিন প্রাতঃরাশের পর সকাল বেলায় ফ্ল্যাশম্যান তাহাদিগকে ধরিয়া । 7