পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# ২১৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। ও পা-চাটারা কখনও বন্ধ থাকে না, তা যে অনেক কাজে লাগে, তা ছাড়া তার বাড়ী থেকে মদ মাংসের মস্ত মস্ত ডালি আসত, সে পায়ে তেল দিয়ে আর খাট দিয়ে লােককে পটিয়ে রেখেছিল। পৌনে দশটার ঘণ্টা বাজিল, ছােট ছেলেরা সলা করিতে করিতে এবং তাহাদের পরামর্শদাতার প্রশংসা করিতে করিতে উপর তলায় চলিয়া গেল, আর সেও তখন হলঘরের আগুনের ধারে বেঞ্চির উপর লম্বা হইয়া শুইয়া পড়িল। এই যে ছােকরাটি, এ বালক জীবনের বেশ একটি বিচিত্র নমুনা, নাম ডিগস, বন্ধুভাবে ‘মাকার’ কিনা গােবর বলিয়া পরিচিত, বাড়ন্ত গড়নের তুলনায় তার বয়স অল্পই ছিল, আর খুব বুদ্ধিমান ছােকরা, পঞ্চম ফৰ্মার প্রায় শীর্ষস্থানীয়, বাড়ীতে তাহার আত্মীয়বর্গ ৰোধ হয় তাহার আকার এবং স্কুলের পদস্থতা বিচার না করিয়া বয়সের হিসাবে এখনও তাহাকে প্রমাণ কোট পরিতে দেন নাই, এমন কি তাহার খাট কোর্তা আরও অতিরিক্ত রকমের খাট হইয়া পড়িয়াছিল, পরন্তু পােক নষ্ট করিতে এবং নিজেকে অলবডেড় ও অপরিচ্ছন্ন করিয়া রাখিতে তাহার বিশেষ একটু মেধা ছিল। ফ্ল্যাশম্যানের দলের সহিত তাহার বনতি ছিল না, তাহারও তাহার অসাক্ষাতে তাহার কাপড়চোপড় ও চালচলন সম্বন্ধে নানারূপ শ্লেষ করিত। সে ইহা জানিত এবং খনই ছােট ছেলের দলের সামনে ফ্ল্যাশম্যানকে পাইত তখনই নানারূপ অপ্রিয় প্রশ্ন করিয়া এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করিয়া উহার শােধ লইত। বড় ছােকরাদের মধ্যে কাহারও সঙ্গে তাহার তেমন সম্প্রীতি ছিল না। তাহারা তাহার বৈসাদৃশ্যের হেতু সতর্কভাবে তফাক তফাৎ থাকিত, কারণ এ ছােক বাস্তবিকই কেমন একটুকু বেতর রকমের ছিল। বিশেষ তাহার অন্য অন্য অপগুণের মধ্যে অর্থচ্ছ, তা বিশেষভাবেই বিদ্যমান ছিল। অন্ত ছেলেরা যেমন টাকা পাইত সেও সেইরূপ পাইত, ..||

' । 1 ।