পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२• টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সুতরাং এই সময় বরাবর যখন হলঘরে অপর ছেলেদের অনাবশ্যকীয় দ্রব্যসমূহের সহিত ডিগসের তৎকালীন যথাসর্বস্ব ডাকে উঠিবে বলিয়া ঘােষণ হইল, তখন ইষ্ট এবং টম যুক্তি করিয়া স্থির করিল যে তাহাদের উপস্থিত নগদ টাকা (অর্থাৎ রােখ চার শিলিং) দিয়া ঐ মূল্যে যতগুলি জিনিষ উদ্ধার করা যায় তাহা করিবে। তদানুসারে তারা নীলাম ডাকের জন্য যথাসময়ে উপস্থিত হইল, এবং টম ডিগসের। দুই লাট অস্থাবর মাল ক্রয় করিল - ১নং লাট, মূল্য এক শিলং তিন পেন্স, নীলামকারীর পরিচয়-মতে, এক প্রস্ত মূল্যবান ধাতব দ্রব্য, অর্থাৎ ইদুরকল একটি, পনির ভাজা ঝাঝরি একখানি (হাতল-বিহীন ), আর একখানি সসপেন বা চাটু ; ২নং লাট, একখানি জঘন্য ময়লা মেজের চাদর এবং সবুজ বনাতের পরদা। আর ইষ্ট এক শিলিং ছয় পেন্স দিয়া একটি চামড়ার পেপার-কেস (বা খুলী) য় করিল, গা-তালা সমেত কিন্তু চাবিহীন, এককালে সুন্দর ছিল কিন্তু এখন ব্যবহারে জীর্ণ। কিন্তু এখন কথা হইল যে এই সকল জিনিষ তাহার মনে কোন আঘাত না লাগে এমন ভাবে ডিগ,সকে কি রকমে লওয়ান যাইতে পারে। মীমাংসায় স্থির হইল যে ডিগসের অনুপস্থিত কালে, তাহার পড়ার ঘর কোন সময়েই তালা বন্ধ থাকে না সেইখানে জিনিষগুলি রাখিয়া আসিবে, এবং তাহারা তাহাই করিল। নীলামের সময় ডিগস উপস্থিত ছিল, কে কোন লাট কিনিয়াছে তাহা সে মনে করিয়া রাখিয়াছিল। ঐ ঘটনার অল্পক্ষণ পরে সে তাহাদের পড়ার ঘরে আসিয়া কিছুক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া তাহার সেই রাঙ্গা রাঙ্গান্ত আঙ্গুলের গাইট মটকাইতে লাগিল। তার পর তাহাদের কবিতার খাতা টানিয়া লইয়া চোখ বুলাইয়া সংশােধন করিয়া দিল। অবশেষে উঠিয়া দাঁড়াইয়া তাহাদের দিকে পিঠ ফিরাইয়া বলিল “পাগলার কোথাকার, আন্ত