পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার সমর। २३) ভাল মানুষ আর কাদের বলে, ঐ খুঙ্গীটা আমার ভারি পছন্দসই জিনিষ, আর ছুটিতে ওটা আমার দিদি দিয়েছিলেন, আমি ভুলব না” এই বলিয়া হুড়মুড় করিয়া দরদালানের মধ্যে বাহির হইয়া পড়িল। তাহারা একটু অপ্রস্তুত হইল, কিন্তু সে জানিতে পারিয়াছে বলিয়া দুঃখিত হইল না। পরদিন সকাল হইল শনিবার। ঐ দিনে সপ্তাহের এক শিলি করিয়া বরাদ্দমত পকেট-খরচ ছেলেদের দেওয়া হইত। অপব্যয়ী ছেলেদের পক্ষে ইহা একটা গুরুতর ঘটনা, যখন শুনিলে যে তাহাদের সমস্ত বরাদ্দর টাকা ভারবির বাজি খেলার জন্য জব্দ করা হইয়াছে তখন চুনাপুঠি মহলে বড়ই অসন্তোষ প্রকাশ পাইল। ইরেজী সম্বৎসরের ডারবির ঘােড়দৌড়-স্বরূপ মহাপৰ্ব্ব রাগবিতে অনেকগুলি মুরতির দ্বারা যথারীতি সম্বৰ্দ্ধিত হইত। সৌম্য পাঠক, আমি স্বীকার করিতেছি যে এই রীতিটি বিশেষ উন্নতিসাধক ছিল না। ইহার ফলে বাজির খাতা, জুয়াখেলা প্রভৃতি নানা কুফল ফলিত, কিন্তু আমাদের যখন খােদ জাতীয় মহামজলিশদ্বয় ঐ দিন সমস্ত দেশের কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়ঃ বিবেচনা করেন, এবং অনেক সদস্য নিজেরাই ঐ দিন প্রচুর পরিমাণে বাজি ধরেন, তখন কি আপনি, বালক আমরা, আমাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণের দৃষ্ঠান্ত অনুসরণ করা নিন্দনীয় বলিয়া মনে করিতে পারেন? অন্তত আমরাও সেই দৃষ্টান্তই অনুসরণ করিতাম। প্রথমতঃ ছিল স্কুলের বড় সাধারণ সুরতি। উহার সর্বোচ্চ পণ ছয় কি সাত পাউণ্ড, তা ছাড়া প্রত্যেক বাড়ীর এক বা ততােধিক নিজস্ব সুরতি ছিল, এই সকল নামে মাত্র স্বেচ্ছাধীন, যে ছেলে তাহার শিলিংটি ধরিতে অনিচ্ছুক হইত অবশ্য তাহার নিকট উহা জোর করিয়া কাড়িয়া লওয়া হইত ন, কিন্তু ফ্লশম্যান ছাড়া স্কুলবাড়ীতে আরও তিন চার জন জোয়ারী যুবক ছিল যাহারা মনে