পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার সমর। ३२० উঠিল না। তারপর বেঙ্গাচি নলপত করিয়া আসিয়া টিকিট উঠাইল এবং উঠাইয়া উহা লইয়া পলাইবার চেষ্টা করিল, কিন্তু পারিল না ধরা পড়িল, এবং অন্য সকলের ন্যায় তাহার টিকিট খোলা হইল ।। | টিকিট-উমােচনকারী চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল “হাঁ, এইবার ওয়াণ্ডারার, তিন নম্বরের পশারে হে”। বেঙ্গাচি অনুযােগের স্বরে বলিল “দাও বলছি আমার টিকিট আমায় দাও”। ফ্ল্যাশম্যান বাধা দিয়া বলিয়া উঠিল “বাঃ এত তাড়াতাড়ি কিসের, ওয়াণ্ডারার কততে বিক্রি করবি বল”! বেঙ্গাচি ৰলিল “আমি বিক্রি করব না”। “বটে, করবি না, বােকা কোথাকারের, যা বলছি শােন, তুই এসবের কিছু বুঝিস না,ও ঘোড়ায় তাের কোনই কাজ হবে না, ও কখনই জিতিবে না, তবে ওটা আমি বাজি বাঁধবার জন্যে নিতে চাই, যাক আমি ওর জন্যে আধ ক্রাউন দিব।” বেঙ্গাচি স্বীকার হয় না, কিন্তু অবশেষে নানারূপ ভয় প্রদর্শন ও প্ররােচনার মধ্যে পড়িয়া টিকিটের অর্ধেক এক শিলিং ছয় পেন্স মূল্যে বিক্রয় করিল। উহা ন্যায্য বাজারদরের এক পঞ্চমাংশ হইবে। সে যাহা হউক সে নগদ কিছু পাইয়াই খুসি এবং বিজ্ঞভাবে মন্তব্য প্রকাশ করিল, “ওয়াণ্ডারার নাও ত জিততে পারে! | কিন্তু চাকতির তুমার নাই”। অতঃপর ইষ্ট আসিয়া ফাকা টানিল। অনতিবিলম্বে টমের পালা আসিল, তাহার টিকিটও অন্য সকলের মত ধরিয়া খােলা হইল। টিকিট-উন্মােচনকারী চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, “খ এইবার আর কোথা যায়, হার্কওয়ে। ফ্লাশি, তাের বন্ধুর বড় জোর কপাল”। “টিকিট আমায় দাও” বলিয়া ফ্ল্যাশম্যান একটা শপথ করিয়া টেবিলের - । ।