পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ । ... | « ২৩ । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। নিয়মকে নিয়ম-কর্তার স্পর্ধনা বলিয়াই জ্ঞান করিত এবং উহার প্রতি স্পর্ধনা না করা মন্দ সাহসের লক্ষণ বলিয়া বিবেচনা করিত। তা ছাড়া স্কুলের নিম্নতর অংশে যথেষ্ট পরিমাণ কাজ ছিল না। ক্লাসের পড়া তাহারা একরূপ সহজেই সারিয়া লইত, এবং ক্লাসে এমন স্থান বজায় করিয়া যাইত যে বৎসরান্তে নিয়মমত উঠাউঠির সম্বন্ধে আর কোনরূপ সন্দেহ না থাকে, এবং অধিক কোন উচ্চাভিলাষ না থাকায় তাহাদের সমস্ত অতিরিক্ত শক্তি খেলা ও নষ্টামিতে নিয়ােজিত হইবার পক্ষে আর কোন বাধা ছিল না। এখন হাউসের একটা নিয়ম যাহা ঘন করা বালকদের প্রাত্যহিক আনন্দের বিষয় ছিল তাহা এই যে সায়মাশের পর পাটানিয়াদের মধ্যে যে তিনজন পথদালানে কাজে হাজির থাকিত তাহারা বাদে আর সকলকে নিজ নিজ পড়িবার কামরায় ৯টা পর্যন্ত আবদ্ধ থাকিতে হইত, এবং যদি পথদালানের কোন স্থানে অথবা হলঘরে অথবা অপরের পড়িবার ঘরে কেহ ধরা পড়িত তবে তাহাকে বেত্রাঘাত বা অন্য কোন শাস্তি ভােগ করিতে হইত। এই নিয়মটা যত কঠিন ছিল উহার প্রতিপালন বিষয়ে ততদুর আঁটাআঁটি ছিল না, কারণ ষষ্ঠেরা অধিকাংশেই পঞ্চম ফৰ্ম্মার ঘরে যেখানে লাইব্রেরি ছিল সেই খানেই সন্ধ্যাকালটা কাটাইত এবং একযোেগে পড়াশুনা করিত। কিন্তু প্রায়ই। মাঝে মাঝে একজন প্রিপােষ্টরের • মফস্বল তদন্তের ঝোঁক চাপিত এবং তখন তিনি পথদালান হলঘর ও পাটানিয়াদের পড়িবার ঘরগুলি একে একে পরিক্রমণ করিয়া আসিতেন। কাজেই যদি কোন অধ্যয়নকক্ষের মালিক দুএকজন বন্ধু বান্ধব লইয়া আমােদ আহলাদ করিতেছে এমন হইত, তা হইলে দুয়ারে প্রথম পাঘাত আর সেই আশঙ্কাজনক ‘দোর খােল’ শফ হইবা মাত্ৰ মুৰ্গী-বাড়ীতে বাজের ছায়া পড়িলে যেমন বায়ক ৰা গৰাক 1 - - f