পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব । ર૭e ঢের তফাৎ, সুতরাং মিনিটখানেকের মধ্যেই টম একটা বেঞ্চির উখর দিয়া লাট খাইয়া চিৎ হইয়া পড়িয়া গেল, আর তখন ফ্ল্যাশম্যান কুদ্ধহাস্টে দন্তোন্মীলন করিয়া ইষ্টকে নস্যাৎ করিবার অভিপ্রায়ে অগ্রসর হইল। কিন্তু ঠিক এই সময় ডিগস যে টেবিলের উপর বসিয়াছিল সেই টেবিল হইতে লাফাইয়া পড়িয়া চীৎকার করিয়া বলিল “বা, থামাে, এ পাল্লা শেষ হ’ল, আধ মিনিট করিয়া জিরান মিলবে। “তােমার—তাতে কি?” একটা দিব্য গালিয়া ফ্ল্যাশম্যান খলিতস্বরে জিজ্ঞাসা করিল। সে হতােদ্যম হইতে আরম্ভ করিয়াছে। “যাতে অবিচার না হয় আমি দেখব বলেছি ত”। ডিগস দন্তোন্মীলন করিয়া তাহার সেই মস্ত মস্ত রাঙা রাঙা আঙ্গুলের গাইট মটকাইতে মটকাইতে বলিল, “তুমি এদের সঙ্গে একা একা লড়বে, এত আর সঙ্গত হয় না। কিহে ব্রাউন, তুমি প্রস্তুত। বস, সময় হয়েছে”। | তখন ছােট ছেলে দুজন আবার ঝাকিল। তাহারা দেখিল কস্তা কস্তিতেই তাদের যা কিছু ভরুসা, ফ্ল্যাশম্যানও ক্রমশই অধিক উদ্দাম ও সংক্ষুব্ধ হইয়া উঠিতেছিল, সে ইষ্টের গলা টিপিয়া লােহা-বধান টেবিলের উপর জোরে ঠাসিয়া ধরিবার চেষ্টা করিল, ইত্যবসরে টম তাহার কোমর সপটিয়া ধরিয়া ভেলে হারি উইণের কাছে যে প্যাচটি শিখিয়াছিল স্মরণ করিয়া তাহার পায়ের ভিতর দিক দিয়া নিজের পা ছাদিয়া দিয়া, নিজের সমস্ত শরীরের ভরটা সামনের দিকে নিক্ষেপ করিল। মুহুৰ্তকাল তিন জনে টলমল করিয়া সপাটে হুড়মুড়, করিয়া মেঝের উপর পড়িয়া। গেল, এবং পড়িবার কালে একখানা বেঞ্চিতে ফ্ল্যাশম্যানের মাথা ঠুকিয়া গেল । বালক দুজন তড়াক করিয়া লাফাইয়া উঠিল, কিন্তু সে নিস্পন্দভাবে মাটিতে পড়িয়া রহিল। তখন তাহারা ভয় পাইল। টম