পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪) দৈবদুর্বিপাকের এক পর্ব। টেবিলের উপর রেখে দিয়েছিলাম, তুমি যদি ঝাড়তে ত এগুলাে দেখতে পেতে, রও আজ তােমাকে আচ্ছা করে ঠেঙান দিচ্ছি। তখন ছােকরা তার পকেট থেকে এক হাত বার করে নিয়ে একবারখানি হেঁট হয়ে খানদুই টুকরাে কুড়িয়ে আমার সামনে খুলে ধরুলে। দেখি প্রত্যেকটার উপর গােটা গােটা ছাদে লেখা রয়েছে-‘হ্যারি ইষ্ট, নিজ দস্তখত। পাজী ছোড়া আমার ফন্দি টের পেয়েছে, পেয়ে আমার কাগজ সরিয়ে তার নিজের কাগজ রেখে দিয়েছে, আর প্রত্যেকটাতেই নিজের চেন্না দিয়ে রেখেছে। বড় একবার মনে হয়েছিল যে ওর আস্পর্ধার জন্য বেশ করে বেড়েন দিই কিন্তু দিলাম না, এই ভেবে যে যতই হােক কারও সঙ্গে কারসাজি খেলা ত উচিত নয়। বলা বাহুল্য যে সে ষষমাহার শেষ পর্যন্ত আমি তার মুঠোর মধ্যে গিয়ে পড়লাম, আর তার পালার হপ্তায় পড়ার ঘরটা এমন নােংরা হয়ে থাকত যে আমি সেখানে বসতেই পারতাম ।” তৃতীয় এক ছােকরা সেই সঙ্গে সায় দিয়া বলিল, “তারা লােকের জিনিষও এমন নষ্ট করে। হল আর ব্রাউন গত হপ্তায় রাতখাটানে ছিল। আমি তাদের ডেকে আমার বাতিদান দুটো সাফ করতে দিলাম, তারা নিয়ে যে চলে গেল ত গেলই, আর দেখা নেই। যখন সেগুলো এমন তিন দফা সাফ করবার সময় কেটে গেল, তখন আমি তাদের খোঁজে বেরলাম। দর দালানে নেই, কাযেই হলঘরে নেমে গেলাম। গিয়ে দেখি দুজনে টেবিলের উপরে বসে, জনসন বাঁশী বাজাচ্ছে, তাই শুনছে। আর আমার বাতিদান দুটো সিকের ভিতর দিয়ে বেশ করে আগুনের মধ্যে সাধান, তেতে লাল হয়ে উঠেছে, আর একেবারে দফা রফা হয়ে গেছে। তারপর থেকে সে দুটো আর সােজা হল না, আবার