পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। ૨e টা ব্রাউনের স্কুলজীবন। যখন ছুটি পাইল, ইউ টমকে বলল “হ্যা দেখ টম, আমরা ঐ ৰলগুলো কোন রকমে পেড়ে আনতে পারি না? “অন্ততঃ চেষ্টা করে দেখা যাক না। অতঃপর তাহারা সাবধানে দেওয়াল পৰ্যবেক্ষণ করিয়া, বুড়া ষ্টাম্পসের নিকট একটা কয়লা-ভাঙ্গা হাতুড়ী চাহিয়া এবং গােটাকয়েক বড় বড় পেরেক কিনিয়া, ই একবার চেষ্টার পর, দেওয়াল ডিজাইয়া স্কুল গৃহের ছাদে উঠিল, এবং সেখান হইতে রাশি রাশি ফাইভ বল সংগ্রহ করিল। এই স্থানটা তাহাদের মনােমত হওয়ায় তাহারা তাহাদের সমস্ত অবকাশ কাল এই খানেই কাটাইল, এবং প্রত্যেক বুকে বুরুজে তাহাদের নাম খুদিয়া সর্বশেষে বড় ঘড়ীর মিনিট কাটার গায়ে এইচ, ইষ্ট এবং টি, ব্রাউন দাগিয়া তবে তাহারা ক্ষান্ত হইল। কিন্তু এই করিতে গিয়া মিনিট ফাটা ধরিয়া রাখিয়া তাহারা ঘড়ীর ফল বিগড়াই দিল। সুতরাং পরদিন সকালে যখন শিক্ষক ও ছাত্রেরা দলে দলে প্রার্থনা অন্ত নামিয়া আসিয়া চত্বরে প্রবেশ করিল, তখন অপরুত মিনিট কাটাটি ঘন্টা বাজিতে আরও তিন মিনিট বাকি দেখাইতেছিল। সুতরাং তাহারা সেইখানেই থামিয়া গৌণ করিতে লাগিল। ইতিমধ্যে বা বাজিমাত্র দুয়ার বন্ধ হইলে দেখা গেল স্কুলের অর্ধেকছেলে ‘লেট। টমাসকে এসম্বন্ধে তদন্ত করিতে পাঠানয় সে মিনিট কাটায় তাহাদের নাম দেখিতে পাইল, এবং তদনুরূপ এত্তেলা করিল। অতঃপর তাহাদের ডাক পড়িল, এবং যাত্রাকালে জনকয়েক বন্ধু কর্তৃক সম্ভাবিত দুর্দশায় সূচনায় নানারূপ অবজ্ঞা-সুচক অঙ্গভঙ্গির দ্বারা অভিনন্দিত হইয়া তাহারা আচাৰ্য্য সদনে গমন করিল। কিন্তু আচাৰ্য্য সব কথা শুনিয়া তেমন কিছু গা করিলেন না, কেবল তাহাদিগকে হােমর হইতে ত্রিশ ছত্র করিয়া কণ্ঠস্থ করিতে দিলেন, এবং ।।