পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। অন্ততঃ এক্ষেত্রে গায়ের জোরেরই দরকার, তা না হলে আমরা শাসন রাখতে পারব না”। দেখ, আমি কোন অতি-বিজ্ঞকে আমার এই বই পড়তে বলিনা, কিন্তু যদি তাহারা পড়ে, তা হইলে এই কথা শুনিয়া তাহাদের লম্বা কান খাড়া করিয়া যে মহাগর্জন অথবা রাসভােচিত উচ্চনাদ করিয়া উঠিবে, ইহা নিশ্চিতই। ভাল, তাতে আমি আপত্তি করিনা, কিন্তু তােমা ছেলেদের অবগতির জন্য আমি এই টুকু বলিতে চাই যে পরদিন প্রাতরাশের পর হােমস তাহাদের বাড়ীর সমস্ত ছেলেদের এক সঙ্গত আহ্বান করিয়া উল্লিখিত জবরদস্তির বিষয়ে একটি বক্তৃতা দিয়া, তারপর জবরদস্তি কারীকে ধরিয়া বেশ এক চোট উত্তম মধ্যম দিয়া ছিল; এবং আরও বলা দরকার যে ইহার বহুবৎসর পরে ঐ বালক সন্ধান করিয়া হােসের কাছে আসিয়া কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিয়াছিল, এবং বলিয়াছিল যে ঐ ঘটনা। বাস্তবিকই তাহার পক্ষে বড়ই হিতকর ও তাহার চরিত্র পরিবর্তনের হেতুভূত হইয়াছিল, এবং ঐ ঘটনার পর হইতে বেশ সুজন ছােকরা হইয়া সে স্কুলের শ্লাঘার কারণই হইয়াছিল। কিছুক্ষণ অঙ্গ আলাপের পর আচার্য্য বলিলেন “আমি তােমার ফরমের দুজন ছাত্রের কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই, ইষ্ট এবং ব্রাউন ; আমি এইমাত্র তাদের সঙ্গে কথা কচ্ছিলাম। তুমি তাদের কি রকম মনে কর”। ‘হ তারা পরিশ্রমী নয় বটে, আর বড়ই কাণ্ডজ্ঞানহীন ও দুরন্ত, কিন্তু আমি তাদের না ভালবেসেও পারি না। আমার মনে হয় তারা আসলে খাঁটি এবং ভাল লােক”। “শুনে সুখী হলাম, আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু তারা আমায় বড় ভাবিয়ে তুলেছে। আমার বাড়ীর খাটানেদের মধ্যে তারা খুব জে ও সাহসী। তাদের ছাড়তে হলে আমার খুবই দুঃখ হবে, কিন্তু