পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| । । ২৬১ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। পাইবে বলিয়া স্থির করিয়া বসিয়া আছে, আর তা হইলে তালাবন্ধের পর হইতে দশটা পর্যন্ত তাহারা একত্রে মাছ ধরিবার গল্প করিবে, ম্যারাইয়াটের নভেল পড়িৰে, বােতলের বীয়ার থাইবে আর পাখীর ডিম বাছাই করিয়া জমাইবে। আর এই নূতন ছেলে হয়ত কখন গেৰ্দের বাহিরই হইবে না, পাছে জ্বলে পা ভিজিয়া যায় বলিয়া ভয়ে সারা হইবে, আর অনুক্ষণ সকলের পরিহাস ভান হইয়া মলি, জেনি, কিম্বা এবধি কোন অবজ্ঞাসূচক মেয়েলী নামে অভিহিত হইতে থাকিবে। | অধিকারিণী তাহাকে মুহূর্তকাল লক্ষ্য করিল, এবং তাহার মনের তাৰ বুঝিতে পারিয়া নিপুণ দুতীর ন্যায় তাহার সদাশয় হৃদয়ের উদ্দেশে কিঞ্চিৎ অনুনয়বাক্য নােচন করিল। চুপি চুপি বলিল “আহা, বেচারী, বাপ মারা গেছে, আর ভাইও নেই, আর ওর মা কি নম্র মিষ্টভা, আজ সকালে ওকে ছেড়ে যাবার সময় বুক যেন ফাটিয়ে ফেলেন আর কি, বল্লেন ওর একটি বােনের ক্ষয়রোগ, বুঝি সামলায় না টম তখন একটা দীর্ঘনিশ্বাসের মত ফেলিয়া খানিকটা জোর করিয়াই বলিয়া উঠিল ‘আচ্ছা নাও, তাই হবে, ইষ্টকে আমায় ছাড়তে হল আর কি। তুমি এ ধারে এসত থােকা। তােমার নাম কি ? চল আমরা কিছু রাত্তিরের মত খেয়ে নিই, তার পর তোমাকে আমাদের পড়ার ঘর দেখাৰ অখন”। | অধিকারিণী টমকে সঙ্গে লইয়া তাহার দিকে আগাইয়া আসিয়া বলিল “এর নাম জর্জ আর্থা”। টম তাহাকে সাথী করিয়া লইবার সমুচিত ভূমিকা স্বরূপ তাহার ছোট, কোমল হাতখানি জোর করিয়া চাপিয়া ধরিল, মনে হইল যেন সে ইহাকে ফুদিয়া উড়াইয়া দিতে পারে। “আমি তাহার বই ও জিনিষপত্র পড়বার ঘরে রেখেছি, ঘরটি ওর মা | ।। " 4