পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २ ) । । ২১* * * * সােত ফিরিল।। গল্প শীই জমিয়া উঠিল, টম একটা অপরূপ টাটুঘােড়ায় চড়িয়া কেমন শিকার করিয়াছিল তাহার সবিস্তর বর্ণনা করিতে লাগিল, এবং শীতকালে হ্রদের যে কিরূপ শােভা হয় তাহারই গল্প শুনিতে লাগিল, এমন সময় চা আসিল এবং সঙ্গে সঙ্গে আচাৰ্য্যও প্রবেশ করিলেন। কি উদার, সদয়, পুরুষােচিত ভাবে তিনি অগ্নিস্থলীর সমীপবর্তী মণ্ডলীকে সম্ভাষণ করিলেন। যে ভাবে তিনি ও ছােট ব্রুক করমর্দন করিয়া পরস্পরের মুখের দিকে তাকাইলেন তাহা দেখিয়া টমের প্রাণ তৃপ্তিতে ভরিয়া উঠিয়াছিল। টম ইহা লক্ষ্য না করিয়া পারে নাই যে ব্রুক এখন প্রায় আচার্যের মতই লম্বা হইয়াছে, এবং ঠিক ততখানিই চৌড়া। এবং পরক্ষণেই তাহার সুখের পাত্র পরিপূর্ণ করিয়া আচাৰ্য্য তাহার দিকে ফিরিয়া সাগ্রহ করকম্পন সহ এমনই ভাবে জিজ্ঞসা করিলেন যেন ইতিপূর্বে টমকৃত সমুদয় প্রত্যয়ের কথা তিনি একেবারে বিস্মৃত হইয়াছেন--“এই যে ব্রাউন তুমি এসেছ ! আশা করি তােমার বাবা আর বাড়ীতে সকলে ভাল আছেন? “আজ্ঞে হ বেশ ভাল আছেন”। “আর এই ছােট ছেলেটি না তােমার সঙ্গে একঘরে পড়বে। তা আমরা যেমনটি দেখতে চাই ও এখন তেমন সবল নয় বটে। ওর কিছু রাগবির হাওয়া আর ক্রিকেটের দরকার। আর তুমি ওকে বেশ লম্বা চক্কর দিয়ে বিন্টগ্রেঞ্জ ও ক্যাডিকট স্পিনির দিক দিয়ে বেড়িয়ে নিয়ে আসবে, আর আমাদের এ অঞ্চলটা কেমন সুন্দর ওকে ভাল করে দেখিয়ে দিবে”। টম মনে মনে ভবিল যে তবে কি আচাৰ্য জানেন যে বিণ্টনগ্ৰেঞ্জের যাওয়ার একমাত্ৰ তাৎপৰ্য্য মালিকের একান্ত অনভিমতে রুকপাখীর ছানা পাড়া, এবং রাত-তর্গী পাতার সুযােগই ক্যালডিকট স্পিনি অভিগমনের HE