পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন হয়ে জেগে উঠে, যে যখন মনে করি যে আর সে সৰ তার কাছে একসঙ্গে পড়তে পাব না, তখন না কেঁদে আর থাকতে পারি না।” আর্থার ইতিপূর্বে তার বাড়ীর কথা কখন বলে নাই, এবং টমও সে দিকে উৎসাহ দেয় নাই, কারণ তাহার স্কুলছাত্রোচিত ভ্রান্ত বুদ্ধিতে ইহাই ধারণা হইয়াছিল যে বাড়ীর কথা ভাবিলে আর্থারের মন নরম হইয়া পড়িবে এবং তাহাতে পৌরুষের অভাব ঘটিবে। কিন্তু এখন তাহার মনোেযােগ বিলক্ষণ আকৃষ্ট হওয়ায় সে বাটালি ও বােতলের বীয়রের কথা একেবারে বিস্মৃত হইল, এবং অতি সামান্য উৎসাহ পাইয়াই আর্থার হার বাড়ীর ইতিহাসের সবিস্তর বর্ণনায় প্রবৃত্ত হইল, এবং যখন হলঘরে যাইবার জন্য প্রার্থনার ঘণ্টার ডাক পড়িল তখন তাহারা উভয়ে অতি ক্ষুদ্র মনেই ঘর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইল। এ এই হইতে আর্থার প্রায়ই তাহার বাড়ীর গল্প করিত, সকলের উপর তাঁহার পিতার কথা, যাহার বৎসর কয়েক পূর্বে মৃত্যু হইয়াছিল, এবং টম তাহার স্মৃতি প্রায় তাহার পুত্রের মতই ভালবাসিতে ও ভক্তি করিতে শিখিল ।। মধ্য প্রদেশের কোন এক প্যারিশে আধারের পিতা পাদ্রি ছিলেন। এই প্যারিশ যুদ্ধের সময় একটা বৃহৎ সহর হইয়া দাঁড়ায়, কিন্তু পরবর্তী কয়েক বার দুবৎসরের চাপে ভীষণ দুর্দশায় নিপতিত হইয়াছিল। ব্যবসা বাণিজ্ঞা প্রায় অর্ধেক নষ্ট হইয়া গিয়াছিল, তারপর সেই পুরাতন বিষাদের কাহিনী : মালিকগণ কর্তৃক সেরেস্তা-সংক্ষেপ, ইতস্ততঃ ভ্রাম্যমাণ বরখান্ত মজুমলােক, ক্ষুধার্ত, শীর্ণদেহ, গৃহে অনশন-পীড়িত শ্রীপুত্র প্রকৃতির চিন্তায় হৃদয় রােষে উদীপ্ত, ঘরের আসবাবপত্রের শেষ কাঠিটি পর্যন্ত বন্ধকের দোকানে আবদ্ধ, ইস্কুল হইতে নাম-কাটা ছেলে মেয়েদের দল নােংরা গলি ও চকের মধ্যে অলসভাৰে ঘুৰিয়া . *