পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। নূতন দালানে এসে পৌঁছলাম। এমন সরু পথ যে ভিতর দিয়া গাউন সমেত আচার্যের গলাই দায়—তখন পাগলার গভর থেকে খিট খিট, শব্দ শোনা গেল ; পাগলা ইষ্টের পায়ের শব্দ জানত, ভাবল ঘর চড়াও করতে এসেছে। ইষ্ট তখন চেঁচাইয়া বলিল ‘মার্টিন, আচাৰ্য্য এসেছেন, এখানে দাড়িয়ে রয়েছেন। তিনি তােমাকে একবার দেখতে চান। “তখন আস্তে আস্তে খিল সরে গেল, কপাট খুলল, সামনে পাগলা দাড়িয়ে, ভয়ে মুখ শুখিয়ে গেছে, জ্যাকেট গােলা, কামিজের আস্তিন কনুই পর্যন্ত গােটান, আর তার সেই চামড়া-সার লম্বা হাতময় বাদ দিয়ে আঁকা নঙ্গর তীর, ও নানা অক্ষয়ের উল্কিতে ভ:, ঠিক যেন মালা ছাকরার মত, আর এমন একটা বিটকেল দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে যে নাড়ী পাক দিয়ে উঠে। আচাৰ্য কোন রকমে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে রইলেন, আর ইষ্ট ও আমি কষে নাক টিপে তার বগলের ফাঁক দিয়ে দেখতে লাগলাম । বুড়াে ম্যাগপাই পাখীটা জালানার ধারিতে বসেছিল, পালক সব নেতিয়ে পড়েছে, মুখখানা বেজায় বিরস, দেখে মনে হয় যেন শরীরে বিষ লেগেছে। “আচার্য্য বল্লেন ‘মাটিন তুমি করছ কি বল ত ? এরকম করলে ত চলবে না। সমস্ত পথদালনটা তুমি নােংরা করে তুলেছ । “আজ্ঞে, আমি কেবল এই ছোটা ঘুটছিলাম, এতে কোন দোষ নেই, এই বলে পাগলা ব্যস্তসমস্ত ভাবে খলচাটা দিয়ে তার কাজের নির্দোষি সপ্রমান করবার জন্য আবার ঘুটতে লাগল, খিট, পিটু, খি, নার ছয় করতে না করতেই, আর যায় কোথা, হস করে সমটা জলে উঠল, থল ডটা ত ঘরের মধ্যে ছিটকে পড়ক, আমরাও কড়মুড় করে ফের সরদালানের মধ্যে এসে পড়লাম। ম্যাগপাইটা ফড়ফড় করে চকের মধ্যে উড়ে উড়ে চিকুড় পাড়তে লাগল, আর পাগলা হাউমাউ করে [ ] । ।