পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. - 1 আর্থারের একজন মিত্রলাভ। চীৎকার করতে করতে আঙুল মুখে পুরে নেচে বেড়াতে লাগল। আচাৰ্য্য তাকে ধরে ফেলে আমাদের খানিকটা জল আনতে বললেন। তিনি তার বেশী লাগেনি দেখে মনে মনে খুশি হয়ে বল্লেন, ‘বােকা ছেলে কোথাকার, এখন দেখলে তুমি এ সব জিনিষ নিয়ে নাড়াচাড়া করছ অথচ এর কিছুই বােঝ না, এবার থেকে একা একা রসায়নচর্চা ছেড়ে দিতে হবে, মনে থাকে যেন। তারপর তিনি তার হাত ধরে তাকিয়ে দেখলেন; আমি দেখলাম তিনি দাঁত দিয়ে ঠোট চেপে ধরেছেন, আর তার চোখে হাসি খেলছে, অথচ খুব গভীর ভাবে বল্লেন “দেখ দেখি কি সব গায়ে ছাইভস্ম দাগ করেছ, আর যে কখন উঠবে না, বছর দুবছরের পরে এর জন্য মনে কষ্ট পাবে, দেখবে, নাও এখন ভাণ্ডারিণীর ঘরে চল, . দেখিয়ে বেশী লেগেছে কিনা। এই বলে দুজনে চলে গেলেন, আমরা, ততক্ষণ পিছিয়ে থেকে মার্টিনের আস্তানার দস্তুরমত খানাতল্লাসী করে তবে ছাড়লাম ; তারপর মার্টিন ব্যাণ্ডেজ বেঁধে ফিরে এসে আমাদের সবাইকে বার করে দিলে।” এই বলিয়া টম মার্টিনের সন্ধানে চলিয়া গেল, সে নিউরােয়ের একটি ছােট কামরায় থাকিত। | পুৰ্ব্ব-কথিত মার্টিন যাহার উপর আর্থারের এতদূর দম পড়িয়াছিল সেই সকল মন্দভাগ্যদের একজন যাহারা তখনকার দিনে, এবং ভয়বাসি এখনও, সরকারী স্কুলে সম্পূর্ণ স্থানভ্রষ্ট বলিয়াই মনে হয়। আমরা যদি আমাদের ছেলেদের থেকে কায লইতে জানিতাম, তা হইলে আমরা মার্টিনকে প্রাকৃত বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়া কৃতবিদ্য করিয়া তুলিতাম। পশু পক্ষী কীট পতঙ্গ এই সকলের উপর তাহার একটা প্রবল আসক্তি ছিল এবং সে উহাদের বিষয় এবং উহাদের জীবনপ্রণালীর বিষয় এত জানিত যে বাগৰিতে আর কেহই জানিত না ; কেবল বােধ হয় আচাৰ্য্য ছাড়া, কেননা তিনি

২০