পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 । । । ৩. টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সবই জানিতেন। সে অল্প মাত্রায় পরীক্ষা-সিদ্ধ রাসায়নিকও ছিল এবং নিজে একটা তাড়িত যন্ত্র নির্মাণ করিয়াছিল, এবং উহার দ্বারা যে সব ছােট ছেলেরা দুঃসাহস করিয়া তাহার গুহায় প্রবেশ করিত তাহাদিগকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘শ বা চিড়িক দিয়া সে মহা আহলাদ ও গর্ব অনুভব করিত, আর এই দুঃসাহসিক কাৰ্য্যে উত্তেজনার অভাব ছিল না, কারণ একটা সাপ হয়ত খপ করিয়া তােমার মাথার উপর পড়িল, অথবা অনুরাগ ভরে তােমার পা জড়াইয়া উঠিল, অথবা একটা ইদুর তােমার পাতলুনের পকেটের মধ্যে খাবারের সন্ধানে ছুট মারিল, এসব সম্ভাবনা ত ছিলই, অধিকন্তু যে একটা জান্তব ও রাসায়নিক . দুর্গন্ধ তাহার ঘরটি সব সময়েই অধিকার করিয়া থাকিত তাহারও মহড়া লইতে হইত, আর তারপর প্রস্ফোটন ও দুর্গন্ধ মূলক যে সব অত্যঞ্ছত, মৰ্ত্ত মানবগণের অশ্রুতপূঝ নানাবিধ পরীক্ষায় সে সর্বদাই সংলিপ্ত থাকিত, তাহারই কোন না কোন একটার ফলে তােমার যে। উড়িয়া যাইবার আশঙ্কা একেবারে ছিল না এমন বলা যায় না। অবশ্য মাটিন বেচারী এই সকল আচরণের ফলে হাউসের মধ্যে একজন ইশমায়েলাইট (অর্থাৎ সমাজদ্রোহী) স্বরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। প্রথমতঃ সে তাহার পড়শীদের প্রায় অর্ধবিধিত করিয়া তুলিয়াছিল, আর তাহারাও সুযােগ পাইলেই তাহার প্রভূত জৈব সম্পত্তির মধ্যে একটা না একটার উপর জো মাৰিত, না হয় তাহার পিয়ারের সেই বুড়ো ম্যাগপাইটাকে তাহার জানালা থেকে সন্নিহিত পড়ার ঘরে ফুসলিয় আনিয়া সেই জঘন্য ধাড়ী পাখীটাকে বীয়ার ও চিনি মাখান পাঁউরুটীর টুকরা খাওয়াইয়া মাতাল করিয়া তাহাকে একেবারে ক্ষিপ্ত করিয়া তুলিত। তারপর মাটিন তাহার পূর্ব পাপের ফলে যে ছােট পড়ার ঘরটিতে বাস করিত, তার জানালার নীচেই একটি ছোট চাতাল