পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সমস্ত কৌশলই ব্যর্থ করিয়াছিল, কারণ পরদিন তাহারা তাহাদের জানালার ধারিতে মটরনালিক রূপ এক কামান পাতিয়া এমন ভাবে নিশানা করিল যে মাটিন বেথানে দাঁড়াইয়া বকদিগকে ‘আধার খাওয়াইবে ঠিক সেইখানে গিয়া গুলি লাগে। যাই মাটিন খাওয়াইতে আরম্ভ করিল, অমনি তাহারা গুলি দাগিতে লাগিল; বৃথাই মাটিন পয়সা খরচ করিয়া মটরনালিক কিনিল, বৃথাই একহাতে ছানাগুলি খাওয়াইতে আর ততক্ষণ আর হাতে নালিকা চালাইতে চেষ্টা করিল, তাহার মনােযােগ খণ্ডিত হওয়ায় তাহার গুলি এধার ওধার দিয়া যাইতে লাগিল, পরন্তু প্রতিপক্ষের প্রত্যেকগুলিই তাহার মুখে হাতে বিধিয়া তাহাকে আৰ্তনাদ-সহকৃত অভিসম্পাতকে আশ্রয় লইতে বাধ্য করিয়াছিল, অবশেষে সে তাহার নানাব্যজাত সমাকীর্ণ গুহার এক কোনেই খাঁচাটিকে সংরক্ষিত করতে বাধ্য হইয়াছিল। নিজের উদ্ভাবিত নানা কৌশলপূর্ণ কীলক সমুহের দ্বারা তাহার দরজা সুরক্ষিত ছিল, কারণ যখনই কোন বিশিষ্ট উপাদেয় সৌরভ তাহার গুহা হইতে নিসৃত হইয়া পাশ্ববর্ত্তী কক্ষগুলি আমােদিত করিত, তখনই তার প্রতিবেশীরা তাহার গুহা অবরােধ করিত। কপাটের খােপের পাটা সাধারণতঃ ভগ্নাবস্থাতে থাকিত, কিন্তু কপাটের কাঠাম অবরােধকারীদের নিবারণ করিত, এবং তাহারই পশ্চাতে বসিয়া সে তাহার নানা কাষে রত থাকিত, অনেকটা সেই পুরানাে “ডাকাতে’ আমলের সীমান্ত প্রদেশীয় জোতদারের মত, দিন নাই, আত্তি নাই, কখন তাহার পুজিপাটা ধরিয়া টান দেয়, অথবা তাহার গরুছু খেদাইয়া লইয়া যায়। “মার্টিন দেন খােল-এ শুধু আমি, টম ব্রাউন” “ও আচ্ছা বেশ, L 1 ।