পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থারের একজন মিত্রলাভ। ৩১৫ পড়িল, এবং প্রবেশলাভের নিমিত্ত ইষ্টের যাজ্ঞাসূচক কণ্ঠস্বর শােনা গেল। টম বলিল ‘ঐ হ্যারি এসেছে ওকে আমরা ভিতরে নিই—আমি ওকে সায়েস্তা রাখিব মার্টিন। আমি তাই ভেবেছিলাম যে ও ধূর্ত এ ভােজের। কথা গন্ধে টের না পেলে হয়।” মূল কথা তাহার চিরবিশ্বস্ত মিতাটিকে নিমন্ত্রণ না করায় ইতিমধ্যেই টমের প্রাণে বিধিতেছিল, যদি ও এ ভােজ। একটা সঙ্ক কল্পিত ব্যাপার বই ছিল না। পরিনামদর্শিতা ও মার্টিন ও আর্থারকে একলা একত্রে আনিবার ইচ্ছা, প্রথমতঃ তাহার মনের দ্বিধাকে চাপিয়া রাখিলেও, সে এখন সহর্ষে দরজা খুলিয়া পুনশ্চ এক বােতল বীয়রের অবতারনা করিয়া সেই বকেয়া শুটকি শূকরের দাপনা খানা তাহার বন্ধুর সন্ধানী পকেট-ছুরীর তলে সমৰ্পণ করিয়া যথার্থ আত্মপ্রসাদ অনুভব করিল। ইষ্ট ভর্ভিমুখে বলিল “তবেরে সব পেটুক চোরার, আমি তখনি ভেবেছিলাম তলে তলে কি একটা হচ্ছে যখন দেখলাম হলঘর থেকে | নিজ নিজ খােরাক নিয়ে সব পাঁয়তাড়া দিচ্ছি। আঃ কি খাপসুরত রসি, ট, বীয়ার ‘বােতলাই করতে তাের জুড়ি মেলা ভার।” “এ কর্ম ষষ্ঠদের জন্যে আমার অনেক করতে হয়েছে, সুতরাং দু একটা হদিশ যে আদায় করে নিব তার আর আশ্চর্য কি?* | “তারপর, পাগলা, তােমার পাখীর বাসা সংগ্রহ কেমন চলছে? হাউলেট কেমন আছে? আর দিন চোদ্দর মধ্যেই বােধহয় ‘রুকের ছানা ঘরের বাইরে বেরবে, আর তখনি আমার পালা।” মার্টিন বলিল “আর একমাসের মধ্যে ‘রুকের’ ছানা বড়ার যােগ্যও হবে না, এতেই বােঝা যাচ্ছে তুমি এ সবের কিছুই জান