পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| | 11. ৰাউন ৰংশ। “ব্লয়িং ষ্টাওয়ান, মশায়”, বলিয়া বাড়ীওয়ালা একটি ‘টবি ফিলপট’ জগ হইতে পুরাতন এল (যবসুরা), সুমধুর করে একটা লম্বগ্রীব গেলাসে ঢালিতে লাগিল। “কি সব উদ্ভট নাম” বলিয়া পান শেষ করি হাই তুলিয়া গেলাসটি পুনরায় ভর্তি করিবার জন্য বাড়াইয়া দিলাম। “মােটেই উদ্ভট নয়, মশায় তা আমি যেমন বুকি”, বলিয়া গৃহস্বামী আমাদিগকে গেলাস ফিরাইয়া দিল। “এই দেখুন না ব্লয়িং ওয়ান” ( অর্থাৎ ফুকো পাথর), সাক্ষাৎ এইখানেই বৰ্তমান-এই বলিয়া একটা চতুষ্কোণ চিবলে গোছের পাথরের উপর হাত রাখিল, আন্দা সাড়ে তিন ফুট উচু হইবে, তাতে গােটা দুই তিন কেমনতর ছেদা, মনে হয় যেন প্রাক্‌মহাপ্লাবনীয় যুগের প্রস্তরীভূত ইদুরের গর্ত, পাথরখানা আমাদের ঠিক নাকের সামনে ওক গাছের তলায় পড়িয়াছিল। আমরা ত একরকম হতভম্ব হইয়া গেলাম, এবং দ্বিতীয় গেলাসটি সমাধা করিয়া সবিস্ময়ে মনে মনে ভাবিতে লাগিলাম যে অতঃপর আবার কি আসে!” “একবার শুনতে চান কি, মশায় ?” বলিয়া গৃহস্বামী টলিফিলপটটি খাঞ্চার উপর নামাইয়া দুই হাত পাথরটির উপর রাখিল। আমরা ভাবিলাম যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পায়, দেখাই যাক না কি হয়, আর সেও আমাদের উত্তরের অপেক্ষা না করিয়া, সেই একটা ইদুরের গর্তে মুখ দিল। লােকটা যদি ফাটিয়া না পড়ে ত একটা অঘটন কিছু ঘটবেই। হরি! হরি! লােকটার মৃগীরােগের ধাত নয় ত? হ, এইবার আসছে বটে, অতি বীভৎস একটা শব্দ, কতকটা কাতর আর্তনাদ কতকটা গর্জনের মত, সমস্ত উপকা ভূমি ছাপাইয়া, পাহাড়ের গা বাহিয়া বাড়ীর পিছনে বনান্তরে চলিয়া গেল। কি ভীষণ, পৈশাচিক হয়। গৃহস্বামী রক্তাক্ত মুখ তুলিয়া-তখনও পাথর হইতে সেই বিকট 11