পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T ৩২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। “এা কোথায় সেটা বলিয়া আর্থার হাঁ করিয়া আকাশের দিকে চাহিল, জিনিষটা সম্বন্ধে তাহার ধারণা নিতান্তই অস্পষ্ট। “ঐ যে দেখতে পাচ্ছ না” বলিয়া ইষ্ট পাশের এক বীচ গাছের এক তাল মিসটো ( এক প্রকার চিরশ্যামল পরগাছা) দেখাইয়া দিল—সে দেখিল মাটিন ও টম তাহাদের চড়ন-কাটা লইয়া ব্যস্ত, সেই অবসরে ধাপ্পা দিবার প্রলােভনটুকু সংবরণ করিতে পারিল না। আর্থার এক দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল, এবং যৎপরােনাস্তি বিষয় অনুভব করিল। ৰলিল “তাই ত কি আশ্চৰ্য্য, আমি যা ভেবেছিলাম এ মােটেই তার মত নয়।” ইষ্ট মরার চোখে তাহার শিকারের দিকে তাকাইয়া বলিল “ভারি বেতর পাখী এই কেট্রেলগুলাে—আর্থার তখনও বদ্ধদৃষ্টিতে আকাশের দিকে চাহিয়াছিল। তারপর আর্থার আপত্তি করিল “আমি যে ফার গাছে বাসা বলে নতাম।" “আঃ, তাও জাননা বুঝি? এযে এক রকম নুতন ধরণের ফার, বুড়ো ক্যান্ডিকট হিমালয় পর্বত থেকে এনেছিল।” আর্থার বলিল “সত্যি নাকি, বাঃ বেশত, আমাদের কার থেকে কত তফাত। কিন্তু এখানের মাটিতে ত বেশ জাের করেছে, জঙ্গলটাই ত ঐ গাছে ভর্তি দেখছি।* টম মুখ তুলিয়া বলিল “কি ছাইভৰ তােমাকে ও বলছে বলত”। তাহার কানে হিমালয় পর্বত এই কথাটা যাওয়ায় সে ইষ্টের অভিসন্ধি সন্দেহ করিয়াছিল। “কেবল এই ফার গাছটার কথা বলিয়া আর্থার গাছের গুড়ির উপর হাত রাখিল। । .।