পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। করিল কিন্তু চড়িতে পারিল না, কাঁটা বিঁধিয়া যাই ভর দেয় আর সেই খানেই গাছের বাকল ভাঙ্গিয়া যায়, আর হাতে সাপটিয়া এমন জোর পায় না যার বলে উচু হইয়া থাকিতে পারে, সুতরাং তিন চার ফুট করিয়া একবার উঠে, আর হাতে মুখে আঁচড় খাইয়া হেঁচড়াইয়া পড়িয়া যায়। তাহারা ক্ষেপিয়া উঠিল, আর ইষ্ট রঙ্গ দেখিয়া হাসিতে লাগিল, তাহারা প্রতিবার কে আর সে চীৎকার করিয়া উঠে “বুড়ো ম্যাগপাইয়ের উপর বাজি, একেকে দুই!” | অবশেষে টম বলিল” একবার পিরামিড ( অর্থাৎ মন্দির করে দেখা যাক। এই ঝােড়া, কুড়ে বদমাইস, তুই গাছে ঠেস দিয়ে বাড়া।” “তা বটে! আর তােমরা সব কটা পায়ে আমার কাঁধের উপর চড়, আমার চামড়াটা কিসের তৈরি মনে করেছ বল ত।” যাই হউক সে উঠিয়া গিয়া গাছে ঠেস দিয়া দাড়াইল, এবং মাথা নীচু করিয়া যতদূর হাতে পায় গুড়ি জাপটাইয়া ধরিল। টম বলিল “এইবার, পাগল, তুমি উঠ।” “না আমি তােমার চেয়ে হালকা তুমি এইবার যাও”। কাষেই টম ইষ্টের কাঁধে চড়িয়া গাছে আঁকড়াইয়া ধরিল এবং তারপর মাটিন, পিরামিডের টলমলানি ও কোথানির মধ্যে, হেঁচড়া হেঁচড়ি করিয়া টমের কাধে চড়িল, তারপর এক লক্ষে তাহার বাহনদিগকে আর্তনাদ সহকারে ভূমিতলে নিক্ষেপ করিয়া, ফুট দশেক উচেচ গাছ জড়াইয়া ধরিল, এবং ধরিয়া ঝুলিতে লাগিল। ক্ষণেকের তরে মনে হইল যে সে বুঝি আর উঠিতে পারিল না, কিন্তু প্রাণপণে সাপটাইয়া ধরিয়া কায়ক্লেশে একের পর একে সে দুই কটাই খুব শক্ত করিয়া গাছের বাকলে বসাইয়া দিল, তারপর কিছু উচুতে আর একবার হাত জড়াইয়া মিনিট খানেকের মধ্যেই সব শেষের ডালটি ধরিয়া ফেলিল। ইবলিল বুড়ো মাগপাইয়েয় এইবার দফা শেষ।” তখন মুহূর্ত