পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড়াই। ৩৪ হেলেনের বিলাপের অনুপম করুণরসাত্মকতা সত্ত্বেও, বেশীর ভাগই পিরশ্রান্ত বােধ করিতে লাগিল। অতঃপর কয়েকটা লম্বা লম্বা চতুষ্পদী শব্দ এক সঙ্গে আসিয়া জুটাতে যে ছােকরা অভিধান দেখিতেছিল সে ত কাযে খতম দিয়া বসিল। | বলিল “আর আমি কথা খুজতে পারিনে, আমরা যতখানি করবার তাত করেছি। দশেকে এক আমরা অতদূর পৌছাবই না। চল হাতায় যাই।” ইষ্ট বলিল—সে ত ঘানি ছাড়িতে পারিলেই বাঁচে-“তাই চল, ভাই . আমাদের বুড়াে মাষ্টার ত কা’ত, একজন নূতন মাষ্টার পড়াতে আসবে, নিশ্চয়ই টিমে চলবে, আর আমরা সহজেই খালাস পাব।” সুতরাং হাতায় যাওয়ার প্রস্তাবটা সৰ্বসম্মতি ক্রমে গৃহীত হইল, ক্ষুদ্র অর্থিার প্রতিবাদ করিতে সাহস করিল না; কিন্তু পাঠ্য বিষয়টি নিতান্তু চিত্তাকর্ষক হওয়ায় সে নীরবে পশ্চাতে রহিয়া গেল, এবং আত্মসন্তাষের নিমিত্ত আর কতকদূর পড়িয়া লইল! ইষ্ট যেরূপ বলিয়াছিল, ফর্মার নিয়মিত শিক্ষকের অসুখ হওয়ায়, একজন নূতন মাষ্টার, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রত্যাগত, তাহাদের পড়া লইতে আসিলেন। ক্লাসে ঢুকিয়া স্ব স্ব স্থানে গিয়া বসিতে যথা সম্ভব গড়িমসি করিয়া, ফৰ্ম্মার নিয়ত শিক্ষকের কাৰ্য্য প্রণালী সম্বন্ধে সুদীর্ঘ কৈফিয়তের অবতারণা করিয়া, এবং বিদ্যালয়ের সময় নষ্ট করিবার ছেলেদের আরও সমস্ত মামুলী ছল কৌশল প্রয়ােগ করিয়া, যদি তাহার পড়াটাকে এমনভাবে টানিয়া বুনিয়া না লইতে পারে যে মাষ্টার মহাশয় কিছুতেই তাহাদিগকে চল্লিশ পংক্তি ছাড়াইয়া লইয়া যাইতে পারিবেন না, তাহা হইলে তাহাদের বরাত নিতান্তই মন্দ বলিতে হইবে। বস্তুতঃ এই চল্লিশ পংক্তি লইয়া শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে একটা ঠেলাঠেলি নিয়ত } না । । = ।