পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সে দেখিল কি একটা হইয়াছে, আর্থার যেন আগাইতেই পারে না। ব্যাপার কি ? হঠাৎ এইখানে আর্থার একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল, 'এবং ফোলাইয়া কাদিয়া উঠিয়া, চোখের উপর দিয়া জ্যাকেটের আস্তিন সবেগে টানিয়া লইয়া, চুলের গােড়া পর্যন্ত লজ্জায় রাঙা হইয়া উঠিল, এবং এমনি ভাব হইল যেন সেই মুহূর্তে সে মেঝের মধ্য দিয়া তলাইয়া যাইতে চায়। ফৰ্ম্মসুদ্ধ ছেলে ত অবাক, বেশীর ভাগই তাহার মুখের দিকে হা করিয়া তাকাইয়া রহিল, আর যাদের উপস্থিত বুদ্ধি প্রখর তাহারা নিজ নিজ বইয়ে স্থানটি খুঁজিয়া লইয়া নিবিষ্টভাবে চাহিয়া রহিল, আশা যে এই ভাবে তাহারা মাষ্টারের দৃষ্টি এড়াইবে, আর্থারের স্থলে তাহাদের আর ডাক পড়িবে না। | মাষ্টার মহাশয়ও ক্ষণেকের তরে খতমত খাইলেন, তারপর যখন বুঝিলেন যে হােমরের মধ্যে, এমন কি সমস্ত লৌকিক কাব্য সাহিত্যের মধ্যে সর্বাপেক্ষাঁ মৰ্ম্মস্পর্শী বস্তু বালককে খােদনােন্মুখ করিয়া তুলিয়াছে, তখন আগাইয়া গিয়া সস্নেহে তাহার কাঁধে হাত রাখিয়া বলিলেন “কিছু মনে করে না, থােকা, ভুমি অতি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছ। এখন মিনিট খানেক সবুর করে, কোন তাড়াতাড়ি নেই।” | এখন দৈবের ফের সেদিন ফৰ্ম্মার মধ্যভাগের বেঞ্চিতে টমের ঠিক উপরেই বসিয়াছিল উইলিয়ম বলে’ মস্ত একজন ছােকরা। প্রায় সকলেই তাহাকে শেলের সর্দার বলিয়া ভাবিত, আর তা হইলে পঞ্চমিয়াদের নীচে সমস্ত স্কুলের সর্দারই সে হইল। ছোট ছেলেরা প্রায়ই জ্যেষ্ঠদের বলবিক্রম লইয়া জল্পনা কল্পনা করে, সুতরাং উইলিয়ামসের বিপুল জোরের সম্বন্ধেও তাহারা নিজেদের মধ্যে নানারূণ উচ্ছ্বসিত বর্ণনা করিত, এবং যদি ইষ্ট বা ব্রাউনের সঙ্গে কোন দিন লাগে, তা হইলে । । 1 -