পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯ ] লড়াই। টমের মুখখানা খুব একপেশে দেখাইতেছে—তাহার কপাল কেমন এক রকম ডুম ডুমা হইয়া ফুলিয়া উঠিয়াছে, এবং তাহার মুখ হইতে রক্ত পড়িতেছে; কিন্তু ইষ্ট এমন বিচক্ষণতার সহিত স্পঞ্জ প্রয়ােগ করিতেছে যে সে প্রতিবারেই তাজা ও উজ্জ্বল চেহারায় ফিরিয়া আসিতেছে। উইলিয়মসের মুখে অল্পই দাগ পড়িয়াছে, কিন্তু তাহার কনুইয়ের আক্ষেপসূচক সঞ্চালন দেখিয়াই স্পষ্টই বােঝা যাইতেছে যে টমের গা-ঘুষির গুণ ধরিতেছে। আদত কথা সুগারের মারের অর্ধেক তেজ বিফলে যাইতেছে, কেননা পাছে পাঁজর আত্মা হইয়া যায় সেই ভয়ে সে স্বচ্ছন্দে ‘দমকা হাঁকরাইতে সাহস পাইতেছে না। এখন ব্যাপারটা এমন জমিয়া উঠিয়াছে যে চীৎকার করিবার ও তেমন অবসর নাই, এবং সমস্ত চক্র অতিমাত্ৰ নিস্তদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। | ইষ্ট চুপি চুপি বলিতেছে “বেশ, হচ্ছে, টমি, ‘লেগে, থাকি যার নাম সেই ঘােড়রই জিত। আমরা ওকে প্রায় গুটিয়ে এনেছি আর কি ? তাের মগজ ঠিক রাখিস ভাই।” | কিন্তু এতক্ষণ আর্থার কোথা? সে বেচারীর মনােনুঃখ ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। চক্রের কাছে আসিতে তাহার সাহসে কুলাইতেছিল না, সে কেবল বড় ফাইভস্ কোট হইতে গির্জার রেলিঙের কোণ পৰ্য্যন্ত এধার ওধার করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল। একবার মনে করি, যাই, দুজনের মধ্যে পড়িয়া উহাদিগকে থামাইয়া দিতে চেষ্টা করি ; তারপর ভাবি, ছুটিয়া গিয়া বন্ধু মেরীকে বলি, আর তা হইলে সে তৎক্ষণাৎ আচাৰ্য্যকে খবর দিবে। বাজি রাখিয়া ঘুষি-খেলায় যে সব লােক খুন হওয়ার গল্প শুনিয়াছিল, সেই সব কথা স্মরণ হইয়া তাহার মন বিভীষিকায় ছাইয়া ফেলিল। কেবল যখন “সাবাস ব্রাউন!” স্কুল বাড়ী কি জয়” ! বলিয়া উচ্চনা