পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। রক্ষা এবং সাবধানতার কৌতুকাবহ সংমিশ্রন চেষ্টায় এমন দ্রুতবেগে চলিতে লাগিল যে কেহ যেন তাহাদের চিনিতে না পারে, অথচ তেমন দ্রুত ও নয় যে নিতান্ত পলাইয়া যাওয়ার মত দেখায়। আচার্য্য ঘটনাস্থলে আসিয়া পৌছান তক কেবল ছােট কই সেই খানে দাড়াইয়া রহিল, এবং আচার্য্য আসিলে তাহাকে টুপী ছুইয়া নমস্কার করিল, যদিও বুকটা একটু গুর গুর যে না করিতেছিল এমন নয়। ‘া, ব্রুক নাকি! আমি তােমাকে এখানে দেখে আশ্চর্য্য হচ্ছি। তুমি কি জান না, যঠে লড়াই থামিয়ে দিবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।” যতটা ভাবিয়াছিল ব্রুক তদপেক্ষা ঢের বেশী বিচলিত হইয়া পছিল, তবে কিনা সরলতা ও স্পষ্টবাদিতার জন্য সে আচার্যের বিশেষ একটু প্রিয়পাত্রই ছিল, তাই তাহার সঙ্গে যাইতে যাইতে (তিনি ইতি মধ্যেই ফিরিয়াছিলেন। মুখ ফুটিয়া বলিয়া ফেলিল “আজ্ঞে, হাঁ, সাধারণতঃ তাই বটে, কিন্তু আমি যেন বুঝেছিলাম যে এ সৰ বিষয়ে আমরা নিজেরাও খানিকটা বিবেচনা খাটাই সে অভিপ্রায়ও আপনার ছিল—অর্থাৎ কিনা বেশী তাড়াতাড়ি হস্তক্ষেপ করে না বসি।” “কিন্তু তারা না আধ ঘণ্টা ধরে, বা তার উপর লড়াই করছিল।” “আজ্ঞে হাঁ, কিন্তু কেউ বেশী আঘাত পায় নি। আর তারা যে ধাতের ছেলে তাতে তাদের মধ্যে অতঃপর বেশী ভাৰ হবারই কথা, কিন্তু আগে থামিয়ে দিলে তা হত না, অর্থাৎ লড়াই যখন এত সমান সমান না যাচ্ছিল। আচাৰ্য্য বলিলেন “ব্রাউনের সঙ্গে কে লড়ছিল ?” “আজ্ঞে উইলিয়মস, টমসনের বাড়ীর। সে ব্রাউনের চাইতে বড়, আর প্রথম প্রথম তারই জিত পাল্লা যাচ্ছিল, কিন্তু আপনি যখন এসে