পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ টম ব্রাউনেয় স্কুলজীবন। থাকিতে আচার্যের কাছে খবর গেল কি করিয়া ; এমন বয়াত মন, ইত্যাদি । টম কিন্তু ইহা মনে না করিয়া থাকিতে পারে নাই যে সে না জিতিয়া ভালই হইয়াছে; এবং যেমনটা ঘটিয়াছে সেই তাহার কাছে ভাল বােধ হইল; এবং সে সুগারের প্রতি বেশ একটু সখ্যভাবই অনুভব করিল। তারপর ছােট্ট আর্থার বেচারী গুটি গুটি আসিয়া তাহার কাছ ঘেঁষিয়া বসিল এবং এমন কাদ কাদ ভাবে তাহার মুখের দিকে ও সেই কাঁচা মাংস খানার দিকে তাকাইতে লাগিল যে টম হহ হহ করিয়া হাসিয়া উঠিল। “অমন করে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাসনে থােকা, আমার কিছু হয় নি।” “না, টম, সত্যি তােমার বড় লেগেছে না? আর এ যে কেবল আমার জন্যই হল একথা কিছুতেই আমি বরদাস্ত করতে পারছি না’ “তা মােটেই নয়, সে অভিমান আর করতে হবে না। আমাদের একদিন না একদিন বােঝাপড়া করতেই হত। আচ্ছা, কিন্তু তুমি আর লড়বে না ত, লড়বে? আমার কাছে প্রতিজ্ঞা কর, না।” “তা বলতে পারিনে-হৌসের যেমন মত হয়। আমারা আমাদের জাতভায়ের হাতে, বুঝলে কি না। যদি দরকার হয়, ফুলবাড়ীর পতাকার জন্য লড়তেই হবে।” | কিন্তু মুষ্টিবিদ্যার অনুরাগীবর্গকে এক্ষেত্রে নিরাশ হইতে হইয়াছিল। কারণ তালাবন্ধের ঠিক পরেই একজন রাত-খাটানিয়া আসিয়া টমের দুয়ারে পা দিল। - “ব্রাউন, ছােট ব্রুক তোমাকে ষষ্ঠ ফৰ্ম্মার ঘরে ডাকছে।” তলবমত টম গিয়া হাজির হইল, দেখিল মাতবরেরা তখন রাত্রি ভােজনে উপবিষ্ট। '

- .