পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

FE | - ৩৬৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। করিয়াছি দুইটি কারণে, প্রথমতঃ এই যে আমাদের সময়কার দৈনন্দিন স্কুলজীবনের একটি যথাযথ চিত্ৰ তােমাদের সামনে ধরিতে চাই, দস্তানাআঁটা খােশ-পােযাকী চিত্র নয়; দ্বিতীয়ত, আজকাল ঘুষি খেলা ও ‘ষি লড়াই সম্বন্ধে যে কতকগুলা নিরর্থক বাগজালময় বাঁধি বুলির চলন হইয়াছে সে জন্যও বটে। এমন কি থ্যাকারে পর্যন্ত এই মােহ পড়িয়াছেন; এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মৃগয়া বিষয়ক এক প্রস্তাবে টইমস্ পত্রিকায় এই সম্বন্ধে ছাইভ কতকগুলা কি বাহির হইয়াছিল। | ছেলেয় ছেলেয় ঝগড়া করিবেই, এবং করিলে কখন কখন মারামারিও করিবে। ঘুষাঘুষি করা ইংরাজ ছেলের পক্ষে বিবাদ ভঞ্জনের স্বাভাবিক এবং সনাতন ইংরাজী দস্তুর। ইহ সংসারে অন্য যে কোন জাতির মধ্যে ইহার সমস্থানীয় অন্য কিছু আছে বা ছিল কি? উহার বদলে অন্য কি দেখিলে তােমরা খুসি হও বলিতে পার কি ? অতএব যেমন ক্রিকেট খেল, যেমন ফুটবল খেল, তেমনি ঘুষি খেলিতে শিখ। ভাল করিয়া-ঘুষি খেলিতে শিখিলে অপকার ত হইবে না বরং অনেক উপকারই হইবে। যদি বা কাৰ্য্যক্ষেত্রে কখন ইহার আবশ্যক নাই হয়, তথাপি মেজাজের পক্ষে এবং পা ও পিঠের মাংসপেশীর পক্ষে এমন উপকারী ব্যায়াম আর কোথাও পাইবে না। | মারামারির কথা যদি বল, সম্ভবপক্ষে অবশ্যই উহা হইতে তফাতে থাকিবে। কিন্তু যদি এমন সময় কখন আসে যে লড়াই করিতে স্পর্কিত হইয়া তদুত্তরে তােমাকে হয় “হ” নয় “না” বলিতেই হয়, তা হইলে সম্ভব হইলে “না” বলিও, আপত্তি নাই—কেবল এই টুকু হুশিয়ার হইলে যে কেন ‘না’ বলিতেছ তাই নিজের মনের মধ্যে পরিষ্কার করিয়া লইয়াছ। যদি প্রকৃত ব্যানােচিত বুদ্ধিতে ঐরূপ কর, তবে তারচেয়ে আর সাহসের পরিচয় । । । ।