পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। উবে যদি কোন ছেলে ইচ্ছা করে, বাড়ীতে চিঠি লিখিতে পায়ে এবং তাহার বাপমায়ের যদি সেইরূপ অভিপ্রায় হয়, তৎক্ষণাৎ বাড়ী চলিয়া যাইতে পারে। তবে যদি রােগের প্রসার দেখা যায় তিনি সব ছেলেকেই বাড়ী পাঠাইয়া দিবেন। পরদিন আর্থার পীড়িত হইল, কিন্তু আর কাহারও ব্যায়াম হইল না। সেই সপ্তাহের শেষ নাগাদ জন ত্রিশ চল্লিশ ছেলে চলিয়া গেল, কিন্তু বাকি সকলে রহিয়া গেল। | আচার্যের যাহাতে সন্তোষ হয় তাহা করিতে একটা সাধারণ ইন্দ। হইল, তা ছাড়া ইহাও ভাবিল যে এ সময়ে পলাইয়া যাওয়া কাপুরুষতার পরিচয়। সেই শনিবার মিসনের মৃত্যু হইল, সমুজল অপরাহুকালে বড় জলের মাঠে তখন যথারীতি ক্রিকেট-ম্যাচ চলিতেছে, আচাৰ্য তাহার মৃত্যুশয্যা হইতে ফিরিবার পথে মাঠের কিনারায় কাকরের রাস্তা দিয়া চলিয়া গেলেন, কিন্তু এ ঘটনা পরদিনের আগে কেহই জানিতে পারিল । প্রাতঃকালীন অভিভাষণের সময় খবরটা গালাঘুষা হইতে লাগিল, এবং অপর ভজনায় তাকাকি সাধারণের মধ্যে প্রচার হইয়া পড়িল; এবং তাহাদের মধ্যে মৃত্যুর সাক্ষাৎ অবস্থিতি নিয়া সমস্ত ইস্কুলটি এক সভায় স্তম্ভিত গম্ভীর ভাব ধারণ করিল। তাহার সুদীর্ঘকালব্যাপী অধ্যক্ষতার মধ্যে আচাৰ্য বােধ হয় এমন কথা আর কখনও বলেন নাই যাহা সেদিনকার সেই উপদেশ বাক্যের চেয়ে হৃদয়ে অধিকতর গভীর ভাবে নিমলিত হইয়াছিল। “ভগবান যাহাকে আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করলেন, কাল যখন প্রায় তাহার মৃত্যুশয্যা হতেই ফিরি, এবং আমাদের এই মাঠের চারিদিকে পরিচিত পরিচিত দৃশ্য সমুদয়ের প্রতি তাকিয়ে দেখি, দেখলাম তােমাদে সাধারণ