পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। “আর্থার বলিয়া উঠিল “দেখ দেখ, ঐ লেজকাটা বুড়ো এ দিকে আসছে না? মাটিন ওকে পাদ্রি বলত। ও নিজেকে ঠিক করে চালাতে পারে না। জোর হাওয়াতে ওকে দেখতে, যে রগড় কি আর বলব, ঠিকমত বাসায় এসে পৌঁছতে পারে না, গাছ ছাড়িয়ে কতদূর ঠেলে নিয়ে যায়, আবার উজান বেয়ে ফিরে ফিরে আসে, তবে শেষে ডালে এসে বসতে পারে।” তালাবন্ধের ঘন্টা বাজিতে লাগিল, আর দুইজনে নীরব হইয়া শুনিতে লাগিল। সেই শব্দ টমের মনকে অবিলম্বে নদী ও বনভূমির অভিমুখে বহন করিয়া লইয়া গেল, তাহার মনে পড়িল কতদিন ঐ ঘণ্টার ক্ষীণ অনুরণধ্বনি বায়ুভরে তাহার কাণে আসিয়া বাজিতেই তাহাকে হিপ সূতা গুটাইয়া ছুট দিতে হইয়াছে, যাতে দরজা বন্ধ হইবার পূর্বেই কোন রকমে ঢুকিয়া গড়িতে পারে। এমন সময় আর্থারের সাম্প্রতিক পীড়াজনিত ক্ষীণ কোমল কণ্ঠ পূর্ব স্মৃতির আবেশ হইতে তাহাকে সচকিত করিয়া তুলিল। | “টম, তুমি কি রাগ করবে, যদি বাস্তবিক একটা গুরুতর কথা বলি ?” “সে কি কথা, ভাই, কখনই না। কিন্তু তােমায় কাহিল বােধ হচ্ছে না, কোন অসুখ করেছে কি? তােমার জন্যে কিছু নিয়ে আসব কি? যাতে তােমার কষ্ট হয় এমন কিছু কথা বলে কাষ নেই, আমি নয় আর একবার আসব।” | “না না আমার কোন কষ্ট হবে না। আমি বরং যা বলবার এখনি বলে ফেলতে চাই। যদি তুমি কিছু মনে না কর। আমি যেয়ীকে বলেছি আচাৰ্য্যকে বলতে যে তুমি এখানে আছ, তােমাকে আর নাম। জকের সময় নেমে যেতে হবে না, তাছাড়া হয়ত আমার আর বলবার ।