পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। তিনি এমন সব সাহসপূর্ণ, কোমল, মিষ্ট বাক্য আমায় বলেন যে আমার মন খুব হাল্কা হয়ে গেল, আর আমার মনে বল পেলাম, আর কোন ভয় রইল না। আমার মা আমাদের সেই সাবেক ডাক্তারকে আনিয়েছিলেন, যিনি ছেলেবেলায় যখন আমি বড় মােগা ও কাহিল ছিলাম আমার চিকিৎসা করেছিলেন, তিনি বললেন আমার এত সম্পূর্ণ বদলে গেছে, আর আমি এখন সব সইতে পারি। তা যদি না হত তা হলে আমি এ অনুষ তিন দিনও বরদাস্ত করতে পারতাম না। আর এ সব তােমাই গুণে, আর যেসব খেলাধূলো তুমি আমায় ভালবাসতে শিখিয়েছ তারই গুণে।” উম বলিল “মাটিনের বেশী গুণ বলতে হবে, সেই তােমার যথার্থ বন্ধুর কাষ করেছে।” “পাগলের কথা, তুমি আমার যা করেছ, সে তা কখনই করতে পারত না।” “হবে, তবে আমি ত বুঝি না, আমি ত তােমার খুব অল্পই করেছি। ওরা কি তােমায় বলেছে, এখন আর তােমার শুনতে বাধা নাই-টমসন বেচারি গত সপ্তাহে মারা পড়েছে। আর তিন জন ছােকরা তােমারই মত বেশ সেবে উঠেছে।” হাঁ, আমি সব কথা শুনেছি। | তারপর, টম যে কথা তাহার সমস্ত মনকে অধিকার করিয়াছিল সেই সমাধি-প্রার্থনার কথা বলিল, এবং উহা তাহার, এবং তাহার বিশ্বাস শান্ত নেই, কিরূপ হৃদয়গ্রাহী হইয়াছিল তাহা বলিল। বলি যদিও আচাৰ্য সে সম্বন্ধে একটি শাও বলেন নাই, এবং সে দিন হাৰুল ও ম্যাচ খেলার দিন ছিল, তবু সমস্ত বিকালঙর মাঠের মধ্যে কোন খেলা হয় নি, এবং ছেলেরা এমনি ভাবে বােরাফেরা করেছিল যেন সে দিন রবিবার। r L

' । । •