পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= = 1 L

৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। আর আমি বুঝলাম যে বাস্তবিকই আমায় জরে ধরেছে, তখন আমার ভয়ানক ভয় হল। আমার মনে হল আমি মারা পড়ব, কিন্তু সে কথা কিছুতেই মেনে নিতে পারলাম না। প্রথম প্রথম নিরবচ্ছিন্ন ভীরুতার জন্যই যে এমন হয়েছিল তা বােধ হয় না, তবে যে মা, বােন ও তােমাদের সকলকে ছেড়ে যেতে হবে এই কথা ভেবে বড় কষ্ট হয়েছিল, আর তাও ঠিক সেই সময় যখন সবে আমি অনেক বিষয়ে নিজের পথ চিনতে সুরু করেছি এবং ভাবতে শিখেছি যে আমি ও একজন মানুষ হব এবং মানুষের মত কাষ করতে পারব। বিনা যুদ্ধে, বিনা কর্মে, আত্মােৎসর্গ করবার অবসর মাত্র না পেয়ে মরতে হবে, এ চিন্তা আমার | নিকট অতিমাত্র দুঃসহ হয়েছিল। আমি নিতান্ত অধীর হয়ে পড়লাম, ভগবানের ন্যায়পরতায় দোষারােপ করতে লাগলাম, আর আত্মসাফাই করতে লাগলাম, এবং যতই সে চেষ্টা করতে লাগলাম ততই ডুবতে লাগলাম। তারপর আমার প্রিয়তম পিতার মূর্তি বার বার আমার সামনে এসে দেখা দিল, কিন্তু আমি সে দিক থেকে মুখ ফিরালাম। যখনি সে মূর্তি আমার সমুখে আসল, একটা অসাড়, গুরুভার স্পন্দন আমার হৃৎপিণ্ডকে চেপে ধরে যেন বলতে লাগল, মৃত মৃত মৃত। আমি আর্তস্বরে বলে উঠলাম ‘জীবন্তু, জীবন্ত যারা তারাই তােমার প্রশংসাগান করবে হে প্রভাে, মৃতে তােমার প্রশংসাগান করতে পারে । সমাধির মধ্যে কোন কর্ম নাই, নিশাকালে কেহ কায করতে পারে না। কিন্তু আমি কাষ করতে পারি। আমি বড় কায করতে পারি। নিশ্চয়ই করব। কেন তুমি আমায় বধ করবে ? এই ভাবে আমি যতই ছটফট করতে লাগলাম, ততই নীচে তলিয়ে যেতে লাগলাম, গিয়া এক অন্ধকারময় জীবন্ত কবরের মধ্যে পৌছলাম। সেখানে আমি একা, নড়বার শক্তি নাই, ভাববার শক্তি নাই, নিতান্তই একা, মানুষের ৭