পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩. টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। সেই রকম—“তাহারা যখন যাইতে লাগিল আমি তাহাদের পক্ষ শব্দ নিতে লাগিলাম। বিশাল জলরাশির কল্লোলের ন্যায় সেই শব্দ, সর্বশক্তিমানের কনির্ঘোষের ন্যায়, বাশক্তির ক্ষুটনির ন্যায়, বিপুল জনসংহতির বিক্ষুব্ধ গর্জনের ন্যায়; যখন তাহারা দণ্ডায়মান হইল, তখন তাহাদের পক্ষ আনমিত করিল’-এবং তাহারা প্রত্যেকেই সরল ঋজুগতিতে অগ্রসর হইয়াছিল; সেই পুরুষ যে দিকে যাইবেন তাহারা সেইদিকে গিয়াছিল, এবং যাইতে যাইতে ফিরিয়া তাকায় নাই। এবং আমরা সেই সমুজ্জ্বল বায়ুলােক দিয়া বেগে ধাবমান হলাম, উহা অযুত অযুত জীবন্ত প্রাণীতে পরিপূর্ণ, এবং এক মহানদীর কিনারায় এসে থামলাম। সেই শক্তি আমাকে বলীয়ান করে রেখেছিল, আমি বুঝলাম এই মহানদীই সমাধি, এবং মৃত্যু এখানে বসতি করে। কিন্তু সেই অন্ধতমসাচ্ছন্ন কবরের মধ্যে যে মৃত্যুর সাক্ষাৎকার করেছিলাম, এ সে মৃত্যু নয়, আমি অনুভব করেছিলাম উহা চিরদিনের জন্য অন্তহিত হয়েছে। কেন না। আমি দেখলাম পরপারে স্ত্রী, পুরুষ, ছেলেমেয়ে সকলে নির্মল ও উজ্জ্বল মূর্তিতে নদীগর্ভ থেকে উখিত হচ্ছে, তাহাদের চক্ষু অনিম্মুক্ত, শরীর দিব্যকান্তিতে মণ্ডিত ও নববলে বলীয়ান, তাহাদের সমস্ত ক্লান্তি, সমস্ত বেদনা বিদূরিত হয়েছে। আরও দূরে এক বিপুল জনসংঘ, যাহার কেহ সংখ্যা করতে পারে না, কোন এক মহাকার্যে নিধুক্ত রয়েছে, এবং যাহারা নদী থেকে উঠছে তাহার গিয়া উহাদেরই সঙ্গে মিলিত হচ্ছে। তাহারা সকলেই কর্ম করছে, প্রত্যেকই স্বতন্ত্রভাবে করছে অথচ সকলে মিলিয়া সেই একই কাৰ করেছ। এবং সেখানে আমার পিতাকে দেখলাম, এবং ছেলেবেলায় সেই পুরাণ সহরে যাহাদের দেখেছিলাম তাহাদের; অনেক কঠিন,