পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లొసలి । । স্কুলে জ্বরের প্রকোপ। “না, মা, তুমি বুঝতে পারছ না, আমি খুব ভাল আছি। কালই আমি তােমার সঙ্গে ডিভনশায়রে যাব। কিন্তু মা, এই দেখ আমার বন্ধু টম ব্রাউন—তুমি ত একে জান?” “তা আর জানিনে, আজ যে কত বছর ধরে জানি।” এই বলিয়া তিনি টমের দিকে হাত বাড়াইয়া দিলেন, সে তখন সােফার পিছনে উঠিয়া দাড়াইয়াছে। ইনিই আর্থারের মা! দীঘল, তন্বী, শ্বেতাঙ্গী, স্বর্ণাভ কেশভার প্রশস্ত, শুভ্র ললাটফলক হইতে গুচ্ছে গুচ্ছে পশ্চাদ্ভাগে সমা, প্রশান্ত সুনীল চক্ষু তাহার চোখের সহিত গভীর উন্মুক্ত দৃষ্টিতে আসিয়া মিলিতেছে—এচক্ষু সে ভাল করিয়াই চিনে, কেননা এ যে তার বন্ধুর চক্ষুর অবিকল প্রতিরূপ, আর সেই মেহার কমনীয় ওষ্ঠধার যাহা, সে যতক্ষণ চাহিয়া ছিল, ঈষৎ ঈষৎ কম্পিত হইতেছিল। অষ্টাত্রিংশবর্ষীয়া রমণী, বয়সে টমের মাতৃস্থানীয়া, মুখমণ্ডলে রেখাপাত হইয়াছে, যেরূপ সৎলােকের স্ত্রী ও বিধবার না হইয়াই পারে না, কিন্তু তিনি যখন এইভাবে সেইখানে দাঁড়াইয়াছিলেন, টম ভাবিয়াছিল এমন সুন্দর বুঝি সে জন্মাবচ্ছিন্নে আর কিছু দেখে নাই। সে বিস্ময়ের সহিত না ভাবিয়া পারে নাই যে আর্থারের ভগ্নীরা কি দেখিতে ইহারই মতন। টম তাহার হাতখানি ধরিয়া সটান তাহার মুখের দিকে চাহিয়াছিল, সে হাতখানিও ছাড়ে নাই, কোন কথাও তাহার মুখ দিয়া সরিতেছিল । আর্থার হাসিতে হাসিতে বলিল ও টম, তােমার শিষ্টাচার গেল কোথায় হে, তুমি একদৃষ্টে চেয়ে মাকে যে অপ্রস্তুত করে দিবে দেখছি ?” টম দীর্ঘ নিশ্বাস সহকারে সেই ক্ষুদ্ৰ হাতখানি ত্যাগ করিল। “নাও, এইখানে দুজনেই বসাে। আমার মা মণি, তুমি এইখানে বসাে, যায়গা রয়েছে” এই বলিয়া সে তাহার জক্ট সােফার যায়গা করিয়া দিল। “টম তােমার গিয়ে কায নাই, আমি বলছি প্রথম পাঠে তােমার ডাক পড়ৰে