পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L - - ৩৯৮ টম ব্রাউনের জীবন। গাউয়ার বাধা দিয়া বলিল হয়েছে, হয়েছে, আর তােমাদের দুজনের সেই ধৰ্ম্মপুতুরের কেচ্ছ। গাইতে হবে না, রাখাে! আমি মানলাম সে দুগ্ধপােয় জ্ঞানের অবতার, কিন্তু আমার আর সময় নষ্ট করবার অবসর নেই, সাড়ে নয়টার সময়ই ফাইভস কোটে যেতে হবে। টম অনুনয় করিয়া বলিল “আমার কথা রাখ, গাউয়ার লক্ষ্মী ভাই, এস একবার চেষ্টা করে দেখি তরজমাবই ছাড়া পারি কিনা * “কি! এই কোরসের মধ্যে ? দশ লাইন ও আমরা এগুতে পারব না।* তখন ইষ্ট এক নুতন বুদ্ধি বাহির করিয়া বলিল “আচ্চ টম, তােমার মনে নেই আমরা যখন উচ্চ-চতুর্থে ছিলাম, আর আমি তরজমা-বইয়ের একখানা পাতা ছিড়ে বইয়ের মধ্যে রেখে তাই দেখে ব্যাখ্যা করছিলাম, আর পাতাখানা উড়ে উড়ে মেঝেতে পড়ছিল, বুড়ো মােমাস তাই ধরে ফেলে আমাকে বেত খেতে পাঠিয়ে দিলে, মনে নেই ?” “হাঁ, বেশ মনে আছে।” “বেশ, তা আচার্য আমাকে বেত মেরে কি বল্লেন তা জান, বল্লেন যে তরজমা-বই ব্যাভার করার দরুণ আমি তােমাকে মারিনি, কিন্তু সেটা পড়ার মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে এসেছিলে, এবং ক্লাশে আসবার আগে একটি বর্ণও পড়া না করে তাই দেখে দেখে পড়া বলছিলে সেই জন্যই মার খেলে। তিনি বলেন শক্ত শক্ত যায়গায় খেই ধরবার জন্য তরজমাই ব্যাভার করায় দোষ নেই যদি তুমি তার আগে নিবুদ্ধিতে ব্যাথা করবার সাধ্যমত চেষ্টা করে থাক।” টম বলিল “তাই বলেছিলেন নাকি? তা হলে ত আর্থার ভুল করেছে।” গাউয়ার বলিল করেছেই ত, জেঠা ছেলে কোথাকার। আমরা