পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ টম ব্রাউনের জীবন। ওয়েষ্টমিনিষ্টার এবীটা ভেঙে ঢুলিয়ে দিয়ে, তার বদলে হাল ফোনের জানালা-ওয়ালা মজলিসঘর তৈয়ার করা যাক, সেক্সপীয়র পড়া ছেড়ে দিয়ে কেবল শেরিডন নােলিস নিয়েই থাকি। একবার মনে কর দেখি আমাদের পূর্ববর্তীরা এই সব বইয়ের উপর কতটা মেহত, পরিশ্রম ব্যয়িত করেছে, আর আমরা তাহাদের কায কি একেবারে বরবাদ করে দিব ?” “হ্যা দেখ হ্যারি ঠাট্টা করােনা বলছি । আমি বাস্তবিকই গম্ভীরভাবে কথা কচ্ছি।” “আর তারপর আমাদের কি ভাল লাগে কেবল সেইটেই দেখব, অপরের কি ভাল লাগে সেটা দেখা আমাদের কি কর্তব্য নয়, বিশেষ করে আমাদের মাষ্টার মশায়দের ? মনে কর দেখি কি তফাৎ; কোথায় সেই কত সন্তর্পণে নিজেদের ও অপরের হাতে মাজাঘষা, ঝর-ঝরে, তক তকে ভালগাস, দেখলেই কি এক স্বপ্নাবেশময় মদির আনন্দে তাদের প্রাণ বিভাের হয়ে উঠে, মনে হয় কি যেন কোথায়, কোন জন্মান্তরেই বা, এ ভাব বা ভাষাটা যেন পেয়েছি—আর কোথায় আমাদের ছন্দ-ভুল মাত্রা-ভুল, গর্ভস্রাব রচনা, তাই বসে বসে কাট, আর তার অষ্টে-পৃষ্ঠেললাটে তিলক-ছাপ কর। আহা, টম, তুই কি এমনি নিষ্ঠুর হবি যে বুড়ো মােমাস যে তাের সেই “হে মানব জাতি বলে বকেয়া গদটি ফের একবার আউড়ে, একবার চশমার ভিতর দিয়ে সচক্ষে তাকিয়ে, তারপর কি ভেবে, একটুখানি হেসে, যেন পুরান প্রেমের খাতিরেই, উপরি তিন নম্বর চড়িয়ে দেবে, তা আর তুই কিছুতেই হতে দিবি নে?” তখন টম, তার পক্ষে যতদূর সম্ভব এমনিতর চটা-ভাবে উঠিয় পড়িয়া বলিল “দেখ এ নিতান্ত আপশােষের কথা যে একটা লােক। প্রাণপণে কি করে নিজের কর্তব্য করবে সেই চেষ্টা করছে, আর তার নিতান্ত আপ্তবয়া কিছুই করবে না, উল্টে কেবল তাকে ঠাট্টা করবে, 11