পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৮ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। এখন বুঝতে পারছি, হতভাগ্য জীবের সহিত যথার্থ সহানুভূতি কি করে লাভ করা যায়।” “তা হলে তুমি আসছে বার সেকরামেণ্ট নেবে, নেবে না কি? | “পুনদ্দীক্ষার আগে নিতে পারি কি ?” “যাও গিয়ে আচাৰ্য্যকে জিজ্ঞাসা করাে।” “তাই যাব।” সেই রাত্রেই, প্রার্থনার পর, ইষ্ট আচাৰ্য্য ও বাতি-হাতে বুড়া সর্দারের পাছু পাছু দোতলায় গেল। টম লক্ষ্য করিল আচাৰ্য্য তাঁহার পিছনে অন্য দিনের চেয়ে কাছাকাছি পায়ের শব্দ, পাইয়া ফিরিয়া দাঁড়াইলেন এবং বলিলেন “কে ইষ্ট? কিছু বলবার আছে, বাপু?” “আজ্ঞে আপনি যদি অনুমতি করেন তারপর আচার্যের খাস দরজা বন্ধ হইল, এবং টম নিতান্ত উদ্বেলচিত্তে পড়ার ঘরে ফিরিয়া আসিল। ইষ্টের ফিরিতে প্রায় এক ঘণ্টা হইয়াছিল ; যখন ফিরিল উদ্ধখাসে ছুটিয়া আসিল। *.*.. টমের হাত চাপিয়া ধরিয়া আবেগের সহিত বলিল ‘সব গােল মিটে গেছে ভাই। আমার মনে হচ্ছে যেন বুকের উপর থেকে একখান বিশমণ পাথর নেমে গেল। | “হুহূরে!” রলিয়া টম বলিল “আমি তা আগেই ভেবেছিলাম, তা কি হল এখন সব খুলে বলত।” | “তাকে সব কথা খুলে বল্লাম আর কি ? তুমি ধারণা করতে পারবে যে সেই মস্ত রাশভারী লােক, যাকে আমি যমের মত ভয় করতাম, কত সদয় কোমল ভাবে আমার সঙ্গে ব্যঙ্গার করলেন। যখন আমি ঠেকে যেতে লাগলাম, তিনি যেন কচিখােকার মত আমাকে হাতে ধরে ধরে, }