পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩১

= - wT টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। ব্যাগল, সকলের মজবুত ও ষণ্ডা ছােকরা, সাধারণতঃ ‘সােয়াইপার বা টানে জ্যাক বলিয়া পরিগণিত, ফুকরাইয়া উঠিল, এবং তৎক্ষণাৎ হেঁটমুখে দাঁড়াইয়া মহা উল্লাসে পাদুখানা শূন্তে আস্ফালন করিতে গাগিল, যতক্ষণ না পার্শ্ববর্তী এক ছােকরা গােড়ালি দুটা ধরিয়া তাহাকে উল্টাইয়া চিৎ করিয়া ফেলিয়া দিল। | “সমজে, জাক, সমজে, অমন করে গাধামি করিস নে, এখনও আমরা সকলের সরেস উইকেট পাইনি।” তারপর একজন দীর্ঘবাহু অনাবৃতমন্তক, ঠেঙ্গাড়ে গােছের খেলােয়ারকে আসিতে দেখিয়া কাপ্তেন বলিলেন, “ওহে, কভরপয়েন্ট’ তুমি এইবার খুব সাবধান। আর জ্যাক তােমার দিকের বাড়িগুলার উপর নজর রেখাে, এর মত ফাকি দিয়ে র নিতে ইংলণ্ডে আর দ্বিতীয় নেই।” | ছােকরারাও টের পাইল যে এইবার শক্ত পাল্লা বটে, আগন্তুকের ‘বাহিরমুখী’ মার অতি প্রচণ্ড এবং সে ছোটে যেন বিদ্যুৎ। সে এক মুহূর্তও নিজের যায়গায় দাঁড়াইয়া থাকেনা, কেবল তাহার উইকেট যখন পড়িয়া যায় তখন ছাড়া। সমস্ত খেলার মধ্যে ইহাতে ছেলেরা যেমন ত্যক্ত হয় এমন আর কিছুতেই নয়। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই সে তিনটি বাই-র হাত করিয়াছে, জ্যাক ব্যাগলস ত জাগিয়াই খুন, মহারােষে সে ওধারের উইকেট লক্ষ্য করিয়া বল ছুড়িতে লাগিল, যতক্ষণ না কাপ্তেন তাহাকে ধমক দিয়া বারণ করিয়া দিলেন। সে ভদ্রলােক কোন রকমে তাহার দলকে বাগাইয়া লইয়া চলিতে লাগিলেন, কারণ তিনি - - - - - - - - --- -- -- - - -- লংপশব পিছনের খাটিয়ে। কক্ষপয়েন্ট-মহড়ায় পিছনের স্থান বা খাটিয়ে। মৰমহড়। বাই--বল ব্যাকপ বা পিছাড়ীর হাত ফস্কাইয়া গেলে সে দৌড়, ফাজিল যৌড়।