পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। জানিতেন যে উহারই উপর সমস্ত নির্ভর করিতেছিল এবং সাহসে বুক বাঁধিয়া নিজের কর্তব্য পালন করিতে লাগিলেন। দৌড়ের সংখ্যা সুড়সুড় করিয়া পঞ্চাশে আসিয়া ঠেকিল, ছেলেদের মুখ ফ্যালফ্যাল করিতে লাগিল, দর্শকবৃন্দ এই সময়ে দলেদলে আসিয়া জুটিতেছিল, তাহারাও একেবারে নিস্তব্ধ। খােলােয়ারের ব্যাট থেকে বল মাঠের চতুর্দিকে ছুটিতেছে, সেকাহাকেও তিলেকের বিরাম বা লােফার সুযােগ দিতেছে না। তবে কিনা ক্রিকেট মহা বরাতের খেলা, কত অঘটন ও সংঘটন হয়, এবং যিনি ইহার অধিষ্ঠাত্রীদেবী তিনি নাকি অতিবড়গুণী খেলােয়ারেরও দর্শ চুর্ণ করিতে ভালবাসেন। যুব ‘বােলর’ জনসন অসংযত হইয়া পড়িতেছিল, সে একটা বল এমন করিল যে ‘অফে (বাহির মুখে প্রায় ‘ওয়াইডেরই মত ; ব্যাটধারী একপা আগাইয়া কভরপয়েন্ট বেশ তফাতে, প্রায় যায়গা ছাড়িয়াই, যেখানে দড়াইয়াছিল, সেইদিকে অতিসুন্দরভাবে বলটাকে কাটিল। সরজমিনের ফুটতিনেক উপর দিয়া বলটা শো করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে ছুটিল; কভরপয়েন্ট ছুটিয়া আসিল, অমনি কেমন করিয়া কে জানে, বলটা তাহার আঙ্গুলের ফাঁকে আটকাইয়া গেল, সেও অবাক, মাঠদ্ধ লােকও অবাক। অনেক কালের মধ্যে এ মাঠে এমন লােফা কেহ কখন দেখে নাই, সুতরাং হর্ষধ্বনি অতি তুমুল হইয়াছিল। “হাঁ, খেলার মত খেলা” বলিয়া কাপ্তেন পরিত্যক্ত উইকেটের ধারে হাঁফ ছাড়িয়া লম্বা হইয়া শুইয়া পড়িলেন, তিনি বুঝিলেন যে একটা ফাঙ্গা কাটিল। আমার ইচ্ছা হইতেছে যায়গা থাকিলে সমস্ত ম্যাচের আনুপূর্বিক বিবরণ দিই; কেমন করিয়া কাপ্তেন একটা পায়ের দিকে ঠিক বল দিয়া। পরবর্তী লােকটাকে লােপাট করিলেন; সৰ্বশেষ বুড়া এইসল্যাবি আসিলে ইতিচারী, ‘ছা।