পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, E টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। মিয়া অপরাহ্নের রৌদ্র পােৰাইতেছিলেন, বড় ইচ্ছা বেশ করিয়া একটু আরাম ভােগ করেন, কিন্তু তাঁহার সেই হাত পা গুলা লইয়া কি করিবেন, কোথায় রাখিবেন, যেন ভাবিয়া ঠিক পাইতেছিলেন না। নিশ্চয়ই ইনি আমাদের সেই পূর্ব পরিচিত মাষ্টার মহাশয় বঁহাকে আমরা ইতিপূর্বে ক্ষণে ক্ষণে দেখিতে পাইয়াছি, তবে আমাদের শেষ সাক্ষাতের পর হইতে তাহার মুখের চেহারার অনেক উন্নতি হইয়াছে। তাঁহার পাশে শাদা ফ্লানেলের কামিজ ও পাতলুনপরা, মাথায় হ্যাট, কোমরে কাপ্তেনের কোমরবন্ধ, পায়ে কাঁচা চামড়ার হলদে ক্রিকেট জুতা (একাদশের সকলেরই ঐ এক জুতা), সা-জোয়ান এক যুৰা বসিয়া আছে, প্রায় ছ-ফুট দীর্ঘ আড়া, টকটকে ঘােয়াল মুখ, তায় গালপাট্টা, কোঁকড়া বাদামীমুল, চক্ষু দুটি হাস্যোজ্জ্বল ও নিয়ত নর্তনশীল। সে হাঁটুর উপর কনুইয়ের ভর দিয়া সামনের দিকে ঝুকিয়া বসিয়া আছে, আর তাহার সখের ব্যাটখানি, যা দিয়ে আজ সে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ রন্ করিয়াছে, তাহার সেই জোরাল পাটল পাঞ্জার মধ্যে নাড়াচাড়া করিতেছে। এই টা ৰাউন, এখন উনিশ বৎসরের যুবাপুরুষ, একজন পৃপােষ্টার, একাদশের কাপেন, রাগবির ছাত্রীবনে আজ তাহার শেষ দিন। আমরা আশা করিতে পারি আমাদের শেষ সাক্ষাতের পর হইতে সে যেমন দেহের পরিণতি তেমনি বুদ্ধি বিবেচনায় ও পরিপকতা লাভ করিয়াছে। আর তাহাড়ের পায়ের তলায়, শুরু গরম জমির উপর, সেই একই রকম পােষাক পরা, আর্থার, ব্যাট কোলে করিয়া তুর্কীদের মত বদ্ধাসন হইয়া বসিয়া আছে। সে এখন আর বালক নয়, ধরিতে গেলে টমেয় অপেক্ষা তাহার বালকত্ব আরও কম, অন্ততঃ মুখের ভাব দেখিয়া সেইরূপই বিৰেচনা হয়, আর মুখখানি যেমনটি হইলে ভাল ছিল তার চেয়ে যেন একটু বেশী ফেকাসে, কিন্তু শরীর পাতলা হইতেও বেশ ৰাধা ও কঠ, । । । ৮ |