পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। কাপ্তেন বলিলেন “লিষ্টিতে এর পর কার নাম আছে ?” যে হােরার হাতে লিষ্টি ছিল সে বলিল “উইণ্টরের, তার পর আর্থারের; কিন্তু মােটে ছাব্বিশ রন্ করতে বাকি, আর সময়ও নেই। শুনলাম মিঃ এইসল্যাবি বলছেন স’ আটটায় খেলা ভাঙতেই হবে”। ছােকরারা সমস্বরে চীৎকার করিয়া বলিল ‘দোহাই, ভাই, ‘সােয়াইপারকে’ যেতে দাও; সুতরাং টম আপন সদ্বিবেচনার বিরুদ্ধে তাহাদেরই কথায় সায় দিল। “এই বােকামির ফলে ম্যাচটি খােয়ালাম, বােধ হয়” বলিয়া টম পুনরায় বসিল; “ওরা তিন চার মিনিটের মধ্যেই নিশ্চয়ই জ্যাককে কাত করবে; তা যা হক, স্যর, খুব সম্ভব আপনি এইবার দু-একটা জোর বাড়ি দেখতে পাবেন’ বলিয়া টম মাষ্টার মহাশয়েরদিকে তাকাইয়া একটু হাসিল। মাষ্টার মহাশয় বলিলেন “নাও তােমার ঠাট্টা রাখ, ব্রাউন, আমি খেলাটা এইবার তলিয়ে বুঝতে আরম্ভ করছি। হাঁ, বাস্তবিক খুব উ চুদরের খেলা বটে”। টম্ বলিল নয় কি? তবে এ খেলার চেয়েও বেশী, এ একটা প্রতিষ্ঠান। আর্থার বলিল “হাঁ, ব্রিটিশ বালকদের এটা জন্মগত অধিকার, তা তরুণ বালকই হােক আর প্রবীণ বালকই হােক, যেমন হেবিয়স কোর্পাস ও জুরিরবিচার ব্রিটিশ বয়স্ক লােকের জন্মগত অধিকার। মাষ্টার মহাশয় বলিতে লাগিলেন “আমার মনে হয় চরিত্রসাধন ও পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা যা এখান থেকে শেখা যায় সেটি মহামূল্য; এ খেলা সবচেয়ে নিঃস্বার্থপর খেলা হওয়া উচিত। ইহা