পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। বাস্তবিক চাকরানীর মত থাকিত না, বাড়ীর বড় মেয়েঝির মত থাকিত ; এবং তিনিও তাহাদের সঙ্গে মনিবের মত ব্যবহার না করিয়া মাজেঠীর মত ব্যবহার করিতেন। টমের ধাই সেই ধারার মেয়ে যাহার কোন কিছু শিখিয়া লইলে বড় দেরি হইত। মনে হইত হাতের মধ্যে তাহার দুখানি হাতই বাহাত, এবং মাটি মােটেই নাই। সেজন্য মিসেস ব্রাউন তাহাকে কিছুদিন নিজের কাছে রাখিয়াছিলেন; অভিপ্রায়, যে তাহার আনাড়িপনা ও মনভােলামি নিজের উপর দিয়া কাটিয়া গেলে পরে যাহাদের কাছে যাইবে তাহাদের হাতে আর যেন বেশ শাসন বা লানা ভােগ করিতে ना श्य তাহার নাম ছিল চ্যারিটা ল্যাম্ব । অয়ণাতীতকাল হইতে গ্রামে একটা প্রথা ছিল যে বাইবেলের নামে, অথবা মানব প্রকৃতি বিশিষ্ট সদগুণ সমুহের নামে ছেলে মেয়েদের নামকরণ করিতে হইবে; সুতরাং গ্রামের রাস্তায় অথবা ময়দানে সদাসর্বদাই এইরূপ তীর ধ্বনি শুনা যাইত --*ডেন্স, প্রুডেন্স (অর্থাৎ সুমতি) তুই নর্দমা থেকে চলে আয় বলছি”। “মার্সি (দয়া), হতচ্ছা মেয়ে, 'তুই ফেরে (ভরি) সঙ্গে কি করছিস? প্রতি কোনেকানাচে রুপ, ব্যাকেল এবং কেনিয়া মিলিহ। ছেলেদের সম্বন্ধেও সেই কথা; তাহাদের নাম ছিল বেঞ্জামিন, কেক, নােয়া, এনক। মনে হয় এই প্রথা পিউটিনদের আমল ইতে চলিয়া আসিতেছে ; অন্তত তেলে উহা এখনও বেশ প্রবল। গতি প্রত্যুষ হইতে শিশিধন সন্ধ্যাকাল পর্যন্ত, অর্থাৎ শােয়ার পর্বে টমকে ঠাণ্ডা জলের টবে বসাইয়া যখন চ্যাবিটা নিজের পাওনা এত উশুল করিয়া লইত ততক্ষণ পর্যন্ত, উহাদের দুইনের মধ্যে এটা বুমার চলিত। এখন পর্যন্ত গায়ের জোর চ্যারিটাল সেই

F THE _ . . | | +