পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। ৪৩ মাষ্টার মহাশয় বলিলেন, “তা ত ভাববেই না ; নৈলে যদিও তুমি খাটানে ছিলে, পুরাণ প্রথা রহিত করা হচ্ছে বলে সমস্ত স্কুলের সঙ্গে তুমিও হৈচৈয়ে যােগ দিতে। আচাষের যত কিছু সংস্কার সব এই ভাবেই নিষ্পন্ন হয়েছে- ধীরে-সুস্থে, স্বাভাবিক ভাবে, একটা মন জিনিষের যায়গায় একটা ভাল জিনিষ বদলে দিয়ে, যে মন্দটা যেন আপনা থেকেই লােপ পায় ; কোন দ্বিধা নেই, তাড়াতাড়ি নেই—উপস্থিতের মত যতটা ভাল করা যায় তাই করা, তা বাদে ধৈৰ্য্য সহকারে কাল প্রতীক্ষা করা।” আর্থার সেই কথায় সায় দিয়া এবং টমকে কনুয়ের এক ঠেলা দিয়া বলিল “ঠিক টমেরই ধারা, অর্থাৎ কিনা যে যায়গায় বসে তেমন যায়গায় পেরেক পােত”। সেই পূর্বপ্রসঙ্গের ইঙ্গিতের উত্তরে টম ও তাহাকে একটি চোরা লাথি দিল। | মাষ্টার মহাশয় এই ইঙ্গিত বা আনুষঙ্গিক প্রচ্ছন্ন অভিনয়টি না বুঝিয়া বলিলেন “ঠিক তাই।” ইতিমধ্যে জ্যাক ব্যাগলস তাহার বিপুল রাঙা কনুইয়ের উপর পর্যন্ত আস্তিন গুটাইয়া এবং পট্টি ও দস্তানা তুচ্ছ করিয়া উইকেটে আসিয়া জুটিয়াছে, এবং জনসনের সমুখ বাড়িতে এক রন্ করিয়া তাহার প্রথম বল লইবার জন্য মুমাইয়া রহিয়াছে। আর মােটে চব্বিশ ঘন্ করিতে বাকি এবং এখনও চার জন খেলিতে আছে, যদি একটু সমজিয়া থেকে তা হলে জিতের বাজি বলিতে হইবে। এই বার যে বলটা আসিল খুব দ্রুত, এবং পড়িয়াই বেগে লাফাইয়া উঠিল, জ্যাকের উরতের বাহির দিকে লাগিয়া রবারে লাগার মত ছিটকাইয়া চলিয়া গেল, আর ততক্ষণ তাহারা মহা হর্ষধ্বনি এবং জ্যাকের বহু অনুরাগীগণের সমুচ চিৎকারের মধ্যে লেগ-বাইয়ে’ দুই রন করিল। তৃতীয় বলটি সুন্দর পাঞ্জা লইয়া