পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - TE : ৪৪৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। বাড়ী না আসা পর্যন্ত দুড়ী-বিছান পথে নির্বিকার চিত্তে পায়চারি করিতেন; কিন্তু এক্ষেত্রে তাহার আতিথ্যধর্মের উপর কলঙ্কস্পর্শে তিনি কাতর হইয়া পড়িলেন, বিশেষতঃ অতিথি আর তাহার নিজের 'ছাত্র। অতিথি কিন্তু সমস্ত ব্যাপারটাকে মস্ত একটা তামাসা জ্ঞানে এধার ওধার উকিঝুকি মারিতে মারিতে একটা দেয়ালে চড়িয়া একটা পথকুঠারির জানালা নাগাল পাইয়া দেখিল সেটায় ঘটনাক্রমে থিল আঁটা নাই, সুতরাং সেই দিক দিয়া মিনিটখানেকের মধ্যে গৃহে প্রবেশ করিয়া ভিতর হইতে সদরদরজা খুলিয়া দিল। মাষ্টার মহাশয় এইরূপ ডাকাতি করিয়া গৃহে প্রবেশ করায় একটু রুক্ষহাসি হাসিলেন, এবং পলাতকদের বাড়ী ফিরিলে ভয় দেখাইবার উদ্দেশ্য হলঘরের দরজা এবং দুইটা সদর জানালা জেদ করিয়া খুলিয়া রাখিলেন, তারপর দুজনে মিলিয়া চায়ের তল্লাস করিতে লাগিলেন; কিন্তু সে পক্ষে মাষ্টার মহাশয়ের নিরতিশয় অপটুতা প্রকাশ পাইতে লাগিল, কেন না একেত তাহার কোথায় কি আছে কিছুমাত্র ধারণা ছিল না, তায় আবার তিনি বেজায় আসল্পদৃষ্টি ; পরন্তু টম যেন একপ্রকার প্রকৃতিসিদ্ধ সংস্কারবশেই রান্নাঘরের ও ভাড়ারের ডুলিগুলির আসল ঠিকানায়। গিয়া হাত দিল, এবং অবিলম্বেই এই আরামকক্ষের টেবিলে এমন সকল উত্তম উত্তম আহাৰ্য্যদ্রব্যের সমাবেশ করিল যাহা মাষ্টার মহাশয়ের আধিপত্যকালে আর কখনও সেখানে দৃষ্টিগােচর হয় নাই। মাষ্টার মহাশয় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ড্রিপিংকেক নামক সেই পরমগুহ মিষ্টান্তের মহিমায় তদ্দণ্ডেই দীক্ষালাভ করিয়াছিলেন। সদ্যপ, মশলাদার, খাস্তা পিষ্টকখানি রাঁধুনীর নিজস্ব খাদ্যকোষে সুরক্ষিত হইয়া তাহার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিল; টম উহা বাহির করিয়া রাধুনীকে সতর্ক করিবার মানসে উহার শেষ ফুলুস = 1